• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৩৭

ব্যাংকিংখাতে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই

পথরেখা অনলাইন : খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, আমানত ও তারল্য সঙ্কট, বৈদেশিক মুদ্রার  মজুদ পরিস্থিতি ও ডলারের বিনিময় হারসহ ব্যাংকিংখাতের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ নিরসনে সরকারকে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জোর সুপারিশ করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।তিনি বলেন,‘অবস্থার উন্নয়নে সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। সেই সংস্কারে থাকতে হবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতিফলন।’
 
শনিবার অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থার কারণ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে ব্যাংক খাতের বর্তমান অবস্থার ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি ও প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সানাউল্লাহ সাকিব।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ১৯৮০ দশকেও খেলাপি ঋণ ছিলো। কিন্তু ৯০ এর প্রথমদিকে ব্যাংকিংখাতে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন খুব সফল হয়েছিলো। এর ভাল সুফল পাওয়া গিয়েছিলো বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরও বলেন, আউট অব দ্য বক্স দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে না। সাধারণ নীতি মানতে হবে। দেরিতে হলেও সুদহার বাজারভিত্তি করা হয়েছে। বিনিময়হার কিছুটা হলেও বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। এটা ভালো খবর যে সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে সরকার টাকা ছাপিয়ে ধার করেনি। বরং আগের নেয়া ধারের কিছু টাকা পরিশোধ করেছে। এই নীতির ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। নীতি সুদহার আরও বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিতে হবে। তবে সবকিছুর পেছনে যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে এসব সম্ভব হবে না।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, টাকা ছাপিয়ে অচল ব্যাংক সচল রাখার দরকার নেই। আবার রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না। ডলারের দর বাজারভিত্তিক হয়েছে, সুদহার বেড়েছে। ফলে এখন আর প্রণাদনার দরকার নেই। রেমিট্যান্সের প্রণোদনা দুবাই ভিত্তিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী খেয়ে যাচ্ছে। আবার ইসলামী ব্যাংকগুলো উদ্ধারের নামে যদি টাকা ছাপানো অব্যাহত থাকে তাতেও মূল্যস্ফীতি কমবে না। এছাড়া ধার করে রিজার্ভ সাময়িক বাড়ানো যাবে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান না। বরং সঠিক নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়াতে হবে। তা না হলে ১৩ বিলিয়ন রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৪শ’ বিলিয়ন জিডিপির দেশ ঠিক রাখা যাবে না।

ব্যাংকসহ আর্থিক এবং কৃষিখাতে ভুল ডাটা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।