• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:২১

সরকার সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর : আলী আরাফাত

  • জাতীয়       
  • ৩০ জুলাই, ২০২৪       
  • ১০৬
  •       
  • ৩১-০৭-২০২৪, ০২:১২:৫৬

পথরেখা অনলাইন : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের  বিচারের আওতায় আনতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।মঙ্গলবার জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে (ডিডব্লিউ) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছি।"

সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, "এখনও বৈশ্বিক মিডিয়া এমন একটি সমীকরণে আটকে আছে যা হচ্ছে সরকার বনাম ছাত্র বিক্ষোভকারী। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। সেখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল। তৃতীয় পক্ষ মানে বিএনপি, জামায়াত এবং শিবির, ইসলামি উগ্রবাদী। তারাই আসলে ধ্বংস ও সহিংসতা চালিয়েছে।" তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু লোক এই পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়ে যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্য সত্য নয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী মোট সংখ্যা ১৫০জন বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

আরাফাত বলেন,"১৫০ জনের মধ্যে, এমন অনেকে ছিল যাদেরকে হামলাকারীরা পুড়িয়ে ফেলে। আমরা তাদের পরিচয়ও সনাক্ত করতে পারিনি।" হতাহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের অনেক লোকও ছিল।প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের শান্তি ও জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে। ছাত্রদের বিক্ষোভে জঙ্গি গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের পর জনগনের জীবন রক্ষা এবং শান্তি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া সরকারের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা কারাগারে প্রবেশ করে নয়জন শীর্ষস্থানীয় জিহাদিসহ প্রায় ৮২৬ বন্দিকে কারাগার থেকে পালাতে বাধ্য করে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।

আরাফাত বলেন, জঙ্গিরা পুলিশের ২৩৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, ৬৯টি পুলিশ ফাঁড়ি ধ্বংস করেছে এবং অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। পুলিশকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১,১১৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৩২ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা মেট্রোরেল স্টেশন, বিটিভি ভবন এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায়।

আরাফাত বলেন, "আমরা বিএনপি, জামাত এবং ইসলামি উগ্রপন্থীদের হামলা চালানোর একটি স্পষ্ট হাতে লেখা নির্দেশনা দেখেছি।"তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনকারীদের নেতারাও এসব ধ্বংসযজ্ঞ ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তৃতীয় পক্ষ তাদেরকে অপব্যবহার করেছে।

আরাফাত বলেন, কিছু ছাত্র তাদের বন্ধুদের হারিয়েছে। তারা মনে করে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এবং সরকার পতন ঘটাতে নৈরাজ্যবাদীরা এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে ।আরাফাত জোর দিয়ে বলেন, তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশের ফলে আন্দোলন অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিকে চলে যায়।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।