• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:২৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আইসিসি প্রসিকিউটরের অকুণ্ঠ সমর্থন

  • জাতীয়       
  • ০১ আগস্ট, ২০২৪       
  • ১০১
  •       
  • ০২-০৮-২০২৪, ০২:০৫:১০

পথরেখা অনলাইন : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল্যবোধ ও নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্থানীয় সময় সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাতে প্রসিকিউটর খান এ সমর্থন ব্যক্ত করেন। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা সমুন্নত রাখতে এবং আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদান ও সহযোগিতারও প্রশংসা করেন। নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আইসিসি প্রসিকিউটর বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতা ও মানবিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাত বছর ধরে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা আমি অনুধাবন করি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বৈঠকে গাজা, ইউক্রেন এবং রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি প্রসিকিউটরের অবস্থান এবং নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে এনে তিনি বলেন, অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুর ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বানের প্রতি সমর্থন এবং মনোযোগ হ্রাস পাচ্ছে এবং এটিকে কেবলমাত্র বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির ফলে বৃহত্তর আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ এবং বিপুল নিরাপত্তা ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী হাছান।

প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশার স্থায়ী সমাধান তখনই হবে, যখন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। যাতে তারা শান্তিতে তাদের স্বদেশে ফিরে অন্য সব জাতিসত্তার মতো মিয়ানমারে অবাধে চলাচল করতে পারে। রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য যা যা করা দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি দেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, ভাংচুরের বিষয়ে প্রসিকিউটরকে অবহিত করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।