• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩২

বাড়িতে বিড়াল এনেছেন কীভাবে যত্ন নেবেন

পথরেখা অনলাইন :  অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল নিয়ে আসেন। তারপরই বাধে বিপত্তি। কারণ অনেকে জানেন না, তাদের (বিড়াল) কীভাবে এবং কতটা যত্ন নিতে হয়। অনেকের ধারণা, বিড়ালের যত্ন নেওয়া সোজা এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। বাড়িতে বিড়াল আনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি। তা না হলে, আপনার শখে করাত হতে পারে অবোলা প্রাণীটি। বিড়ালদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা থাকে খাবার-দাবার নিয়ে। জেনে নিন তাদের খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে।

এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, পোষ্য বিষয়ক পুষ্টিবিদ অঞ্জলি কালাচাঁদ জানান, আপনি যদি কর্মব্যস্ত হন। আর প্রতিদিন বাইরে হাঁটার জন্য সময় না পান। তবে আপনার সঙ্গী হিসেবে বিড়ালকে বেছে নিতেই পারেন। এই বিড়াল বাড়িতে আনার আগে আপনার জানালাগুলিতে অবশ্যই নেট বসিয়ে নিন। বিড়ালদের ক্ষেত্রে প্রায়শই কিছু জিনিস উপেক্ষা করা হয়, যেমন– তাদের কেউ কুকুরের মতো হাঁটতে নিয়ে যাই না। কিন্তু এটা তাদের জন্যও জরুরি, কারণ এতে শরীরের অনুশীলন হয় যা তাদের সুস্থ রাখে।

তিনি আরো জানান, একটি নতুন বিড়ালছানা বাড়িতে আনলে, তার আগের খাওয়া-দাওয়ার পরিবর্তন না করাই ভালো। বিড়ালছানাদের প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালদের তুলনায় ঘন ঘন খাওয়াতে হবে (৩ মাস পর্যন্ত)। বিড়ালছানাটিকে দিনে ৫ বার খাওয়াতে পারেন। ৩ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত বিড়ালছানাকে দিনে ৪ বার খাওয়ান। আর ৬ মাস বয়সে দিনে ৩ বার খাবার দিতে পারেন প্রিয় পোষ্যটিকে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালও দিনে ৩ বার খায়। তবে যদি আপনার বিড়ালটি সবরকম খাবার খেতে না চায়, তবে রুটিনের পরিবর্তন আনতে পারেন।

অঞ্জলি বলেন, ‘বিড়ালদের শুকনো খাবার কম দেওয়াই ভালো। কারণ, বিড়ালদের ফেলাইন মূত্রনালির রোগ কম পানি গ্রহণের কারণে ঘটে। আর বিড়ালরা প্রাকৃতিকভাবে পানির বাটির দিকে আকৃষ্ট হয় না। সাধারণত বিড়াল মাংসাশী হয়, তাই তাদের ডায়েটে স্টার্চি কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন হয় না। বিড়ালদের মধ্যে স্থূলত্ব এবং অন্যান্য জীবনযাত্রা সম্পর্কিত রোগ বৃদ্ধি পায়। তাই, যতটা সম্ভব বিড়ালকে তাজা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।’

তিনি আরো জানান, তাদের প্রোটিন হিসাবে মাংস, ফাইবারের জন্য সবজি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সামগ্রীর জন্য কিছু মাছ খাওয়াতে পারেন। এগুলো মূলত বিড়ালের জন্য আদর্শ খাবার। সাধারণ সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং অনাক্রম্যতার জন্য তাতে ক্যালসিয়াম হিসাবে কিছু হাড়ের গুঁড়া দিতে পারেন। ফ্যাটি অ্যাসিডও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের মাছের তেল, হেম্পসিড তেল বা নারকেল তেল পোষ্যকে দিতে পারেন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।