• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৬

ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত : ৬১ আরোহীর সবাই নিহত

পথরেখা অনলাইন : ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল। ব্রাজিলের ভোয়েপাস এয়ারলাইনের এটিআর ৭২-৫০০ বিমানটি শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। এ সময়ে ভিনহেদো এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ারলাইন সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

এদিকে ভোয়েপাস প্রথমে যাত্রী সংখ্যা ৫৮ বলে জানিয়েছিল। পরে এক বিবৃতিতে সংশোধন করে যাত্রী সংখ্যা ৫৭ বলে জানায়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বিশাল এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলছে এবং ধোঁয়ার কু-লী আকাশে উঠে গেছে। ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

সাও পাওলো থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে ভিনহেদো অবস্থিত। এর কাছাকাছি ভেলিনহোসের নগর সরকার জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানে কেউ বেঁচে নেই। উদ্ধারকাজে যুক্ত রয়েছে এই নগর সরকার। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলেও মাটিতে থাকা কেউ হতাহত হয়নি। এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। এ ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন ডি সিলভা।

ব্রাজিলের সিভিল এভিয়েশন এজেন্সি বলেছে, বিমানটি ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটির বৈধ রেজিস্ট্রেশন এবং উড়ার সক্ষমতা বিষয়ক সার্টিফিকেট ছিল। এছাড়া দুর্ঘটনার সময় বোর্ডে থাকা চারজন ক্রু সদস্যের সকলেই যথাযথভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং তাদের বৈধ যোগ্যতা ছিল।

উল্লেখ্য, নেপালে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন পরিচালিত আরেকটি এটিআর ৭২ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭২ আরোহীর সকলেই প্রাণ হারিয়েছিল।সে সময়ে নেপালী কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার জন্যে পাইলটের ভুলকে দায়ী করেছিল।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।