• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৮

গোপালগঞ্জে বাদামের বাম্পার ফলন

পথরেখা অনলাইন : গোপালগঞ্জে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চীনা বাদাম উৎপাদিত হয়েছে। চলতি বছর জেলার ৫ উপজেলায় ৫১৫ হেক্টর জমিতে চীনা বাদোমের আবাদ করেন কৃষক। সে হিসাবে প্রতি হেক্টরে গড়ে ২ মেট্রিক টন বাদাম ফলেছে। বাদামের বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হেয়েছে।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টরে বাদামের আবাদ করা হয়। সেখানে ৯০০ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদিত হয়েছে। মুকসুদপুরে ১০ হেক্টরে উৎপাদিত হয়েছে ২২ মেট্রিক টন, কাশিয়ানীতে ৩৫ হেক্টরে ৬৮ মেট্রিক টন, কোটালীপাড়ায় ১৫ হেক্টরে ২৯ মেট্রিক টন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৫ হেক্টরে ১১ মেট্রিক টন চীনা বাদাম উৎপাদিত হয়েছে। কৃষক উচ্চ ফলনশীল বিনা ও বারি চীনা বাদামের জাত আবাদ করেছেন । এ কারণে তারা চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছেন।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছর বাদাম চাষাবাদে জেলার ৫ উপজেলার ৬৮০ জন কৃষককে প্রণোদনার বীজ ও সার দেওয়া হয়। কৃষক প্রতি ১০ কেজি করে চীনা বাদাম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়। প্রণোদনার বীজ সার পেয়ে কৃষক ৬৮০ বিঘা জমিতে চীনা বাদামের আবাদ বৃদ্ধি করেন। এভাবে বাদামের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দেশে ভোজ্য তেলের আমদানী নির্ভরতা কমবে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষক সাইফুল আলম খান বলেন, আমি গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে বিনাচীনাবাদাম-৬ বীজ ও সার পেয়ে আমার ১ শ’ ৫০ শতাংশ জমিতে বাদামের আবাদ করি। প্রতি শতাংশে আমি এ জাতের বাদাম ১২ কেজি ফলন পেয়েছি। সে হিসাবে ২৪৬.৫১ শতাংশের ১ হেক্টরে এ বাদাম ফলন দিয়েছে ২ টন ৯শ’ ৫৮.১২ কেজি । এটি রেকর্ড ফলন বলে মন্তব্য করেন ওই কৃষক।  
 
সাইফুল আলম খান আরো বলেন, আমার দেড় একর জমিতে বাদাম আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এখান থেকে আমি ১ হাজার ৮শ’ কেজি বাদাম পেয়েছি। প্রতি কেজি বাদাম ১শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছি। উৎপাদিত বাদাম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। খরচ বাদে লাভ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ধান ও পাটের তুলনায় বাদামে লাভ অনেক বেশি। বাদামের পর আমি বিনা আমন ধান করব। আমন কেটে স্বল্পজীবনকাল সম্পন্ন বিনা সারিষা চাষ করে আসছি। বিনার শস্য বিন্যাস অনুসরণ করে আমি প্রতি বছর একই জমিতে ৩টি ফসল করতে পারছি। এতে আমার আয় বেড়েছে। আর্থসমাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছি।
 
বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিনাচীনাবাদাম-৬ হেক্টরে ২টন ৯শ’ কেজি পর্যন্ত ফলন দিতে পারে। কিন্তু কৃষক সাইফুল এ বাদাম চাষ করে বাড়তি পরিচর্যা করেছেন। তাই তিনি রেকর্ড পরিমান ২ টন ৯৫৮ কেজি ফলন পেয়েছেন। এ চীনাবাদামের জীবনকার ১৪০ থেকে ১৫০ দিন। বাদামের ভেতরের দানা পুষ্ট। তাই তেলের পরিমান ৪৮%। এ বাদাম আবাদ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। এ বাদামের বদৌলতে কৃষক একই জমিতে বছরে ৩টি ফসল করতে পারেন। এ বাদামের চাষ সম্প্রসারণ করতে পারলে দেশে ভোজ্য তেলের আমাদানী হ্রাস ও তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে ওই কৃষি বিজ্ঞানী মন্তব্য করেন।
পথরেখা//আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।