পথরেখা অনলাইন : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ ঘণ্টায় ৩৫০ জনে টাকা গণনার কাজ শেষ করেন। এবার ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে। ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দিনভর টাকা গণনা শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবার তিন মাস ২৭ দিন পর পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে মিললো ২৮ বস্তা টাকা, এতে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে, গত ২০ এপ্রিল ৪ মাস ১০ দিন পর মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খোলা হয়। এতে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিলো।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এলাকাবাসী বলেন, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দান করে থাকেন।
পথরেখা/আসো