পথরেখা অনলাইন : চলতি মাসেই চার দফা বেড়েছে বাংলাদেশ বিমানের কার্গোর পরিবহন ভাড়া। মধ্যাপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতিকেজি কৃষিপণ্যে এ ভাড়া বেড়েছে ২ ডলারের বেশি। রপ্তানিকারকরা বলছেন, ভাড়া বৃদ্ধির কারণে কৃষি পণ্যের রপ্তানি কমে বাজার হারানোর শঙ্কা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ বিমান বলছে, আন্তর্জাতিক ভাড়ার সাথে সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পচনশীল পণ্য পাঠাতে রপ্তানিকারকদের অন্যতম পছন্দ আকশপথ। এ পথে বিভিন্ন দেশে যায় তাজা শাক-সবজি, ফলমূল, চিংড়ি সহ অন্যান্য পণ্য। কিন্তু এসব পণ্য রপ্তানিতে বিমান বাংলাদেশের কার্গো ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
বিমান বাংলাদেশ চলতি মাসে বিভিন্ন রুটে ভাড়া বাড়িয়েছে চার দফা। আর গত ছয় মাসে ঢাকা-লন্ডন রুটে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে এ ভাড়া প্রতি কেজিতে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ছয় ৫ ডলার। আর ঢাকা-টরেন্টো রুটে বর্তমান ভাড়া ৫ দশমিক ২ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত, ওমান, সৌদিআরব, দুবাই ও অন্যান্য দেশে এ ভাড়া বেড়েছে প্রায় এক ডলার।
সবজি-ফল রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘প্রতি কেজি ২০০ টাকা বিমান ভাড়া গত চার মাসে বেড়েছে। এটা প্রতি মাসে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়েছে এই যেমন প্রতি সপ্তাহে। বিমান যখনই ভাড়াটা বাড়াই তখনই বিদেশি পরিবহন সংশ্লিষ্টরাও কিন্তু বাড়িয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, যখন একই সবজি পাশের দেশ পাকিস্তান, ভারত বা নেপাল থেকে পাওয়া যায় তখন বিদেশি গ্রাহকরা বাংলাদেশের এই বাজারটা অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে আমরা যে ইনভেস্ট করেছি সেটা আটকে যায় এবং এর প্রভাব আমাদের কারেন্সিতে পড়তে থাকে।’
রপ্তানিকারকরা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে না ওঠায় আন্তর্জাতিক ক্রেতা হারাচ্ছেন তারা।
এদিকে বিমানের ভাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থার তুলনায় এখনো কম বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ। বিমান বাংলাদেশের কার্গো মহা ব্যবস্থাপক এ. বি. এম. নজমুল হুদা বলেন, ‘‘ বিদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে ৮৮ শতাংশ কিন্তু অন্যরা নিচ্ছে। সেখানে ভাড়া যদি ৬ ডলার থাকে তা আমার ভাড়া যদি ৪ ডলার হয় তাহলে সেখানে আমি ২০ সেন্ট বাড়ালে ঠিক কতটা প্রভাব পড়ছে। বিদেশি এয়ারলাইন্সরাই আসলে মেইন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।’
পথরেখা/এআর