• সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
    ২৭ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৬:২৩

শুটিংয়ে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন অমৃতা

পথরেখা অনলাইন : পাহাড়ের কোলে শুটিং। থাকার ব্যবস্থা হয়েছে এলাকারই একটি গেস্ট হাউসে। কিন্তু রাত গড়াতেই হাতির হামলা। শুটিং করতে গিয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়।
 
শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব সিরিজ় ‘ইন্সপেক্টর নলিনীকান্ত ২’। ‘নন্দিনী’ নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমৃতা। স্বামীর সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় বাস নন্দিনীর। পাহাড়ের কোলে এক বিলাসবহুল বাড়িতে তাদের সংসার। তাই সিরিজ়ের অধিকাংশ শুটিং হয়েছে ডুয়ার্সের তাকদা অঞ্চলে। সেখানেই নানা রকম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী।
 
অমৃতা জানান, হাতির কবলে পড়তে পড়তেও বেঁচেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “আমি যে দিন ডুয়ার্সে গিয়ে পৌঁছই, তার এক দিন আগে শুটিং শুরু হয়েছে। গিয়ে শুনি, রাতে নাকি একটি হাতি এসেছিল। গেস্ট হাউসের পাশেই রয়েছে কলাবাগান। তাই হাতি চলে আসে। এমনকি, হাতিটি নাকি গেস্ট হাউসের দেওয়াল পর্যন্ত ভেঙে দিয়ে যায়। আসলে জঙ্গলের এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভিতরে ছিল লোকেশন। সকলে বিষয়টা নিয়ে খুব ভয়ে ছিলেন। হাতি যাতে আর না আসে তাই কলাগাছগুলি কেটে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।”
 
শুটিংয়ে পৌঁছে এই ঘটনা শুনে ভয় পেয়েছিলেন অমৃতাও। তবে আর কোনও দিন হাতি হানা দেয়নি। যদিও গন্ডার এবং চিতাবাঘ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। অভিনেত্রীর কথায়, “দীর্ঘ ক্ষণ ধরে শুটিং চলেছে আমাদের। সেই সব সেরে আমাদের চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে ফিরতে হত। কলাকুশলীদের মধ্যে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা বলতেন, ‘সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছে। এমনিতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু মাঝেমধ্যে গন্ডার ও চিতাবাঘ বেরোয় এই রাস্তায়।’ ওঁরা অবশ্য বিশেষ ভয় পান না। কারণ ওঁদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। বাইকে যাতায়াত করেন। আমাদের সঙ্গেও গাড়ি ছিল। কিন্তু আমরা তো জঙ্গল ভ্রমণে যাইনি। তাই মনের মধ্যে ভয় তো ছিলই। তবে সবটা পেরিয়ে শুটিংটা যে নির্বিঘ্নে হয়েছে, এটাই বড় কথা।”
পথরেখা//
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।