• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৩

জামায়াতে ও ছাত্র শাখার নিষেধাজ্ঞা উঠল বাংলাদেশে

  • জাতীয়       
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৪       
  • ৪১
  •       
  • ৩০-০৮-২০২৪, ১৩:৩৯:২২

পথরেখা অনলাইন : জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের শাখা সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
 
৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ অগস্ট ইসলামী ও তাদের ছাত্র শাখাকে সন্ত্রাস যোগের কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করেন। এ দিন অন্তর্বর্তী সরকারের নোটিসে বলা হয়েছে, গোয়েন্দারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির যোগাযোগের প্রমাণ পায়নি বলে সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার পরে এই দুই সংগঠনের উপর থেকে আগের সরকারের চাপানো নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের কথা জানানো হয়েছে সরকারি প্রজ্ঞাপনে।
 
এ দিনই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও বর্ষীয়ান সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি মত বিনিময় সভায় ভারতের প্রতি ‘বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা’-র বার্তা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে সব চেয়ে তৎপর রাজনৈতিক দল হিসাবে উঠে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। ইসলামী দলগুলিকে এক মঞ্চে শামিল করে তারা বাংলাদেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করতে চলেছে। এ জন্য বিবদমান ইসলামি দলগুলিকে নিয়ে আলাদা আলাদা করে সভা করে তাদের সমর্থন আদায় করেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। বুধবার শফিকুর বলেন, “আমরা চাই সকলে সম্মানিত প্রতিবেশী হিসেবে বাস করুক। এটা শুধু ভারত দিয়ে কথা নয়, সকলের ক্ষেত্রে আমাদের একই কথা।” জামায়াতের আমির বলেন, “আপনার স্বভাব বদলান, তা হলে প্রতিবেশী বদলানোর দরকার পড়বে না। প্রতিবেশীকে প্রতিবেশী হিসেবে মনে করুন, তাদের সম্মান প্রদর্শন করুন।”
 
এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও তার শরিক দলগুলির নেতাদের ঢালাও খুনের মামলা দেওয়ার বিরোধিতা করেন জামায়েতের আমীর। শফিকুর রহমান বল‌েন, “গণহারে একটা হত্যা মামলায় পাঁচশ জনকে আসামি করা হচ্ছে। এটা কতটুকু যৌক্তিক শত বার চিন্তা করা উচিত। এর আড়ালে মূল অপরাধীর বেঁচে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর হেনস্থার জন্য, প্রতিহিংসার জন্য বহু নামী নেতার নাম মামলায় জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা জুলুম করতে চাই না।” এ দিনের অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও অভয় দেন জামায়াতের আমির। শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা বিভক্তির রাজনীতি চাই না। সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু ধারাণাটি জাতিকে বিভক্ত করে। আমার যদি এ দেশে শান্তিতে বসবাস করার অধিকার থাকে, তা হলে অন্য সব ধর্মের মানুষের একই অধিকার আছে।”
 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরও এ দিন আগের সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের ঢালাও খুনের মামলা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “এমন কোনও মামলা দেবেন না, যে মামলায় কোনও সারবত্তা থাকবে না। সব মামলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের জড়িত করা, এটাও বোধ হয় সমুচিত নয়।”
 
জঙ্গি নেতা জসিমুদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেওয়ার পরে কোনও কথা না বললেও, জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে বুধবার মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তাঁর যুক্তি, ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করা এবং তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়েই শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিল। এই সরকার মনে করে, এটা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। সেই কারণেই জামায়াতে ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। জামায়াতের আমির ও বিএনপি নেতৃত্ব এ দিন হেনস্থার উদ্দেশ্যে আগের সরকারের নেতাদের ঢালাও খুন‌ের মামলা দেওয়ার সমালোচনা করার পরে আসিফ নজরুলও বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, এটা বোধ হয় উচিত নয়।”
পথরেখা//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।