• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:৪৭

গাজা যুদ্ধে ক্ষুদ্ধ জাতিসংঘ কর্মকর্তা

পথরেখা অনলাইন : গাজা যুদ্ধের ক্ষোভ এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বাধা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় সাহায্য কর্মকর্তা ‘আমাদের মৌলিক মানবতার কী পরিণত হয়েছে’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
 
জাতিসংঘ মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের অফিস (ওসিএইচএ) এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান জয়েস মসুয়া বলেছেন, ‘আমরা ২৪ ঘন্টার আগে পরিকল্পনা করতে পারি না। কারণ, আমাদের কাছে কী সরবরাহ থাকবে, কখন আমাদের কাছে সেগুলো থাকবে বা আমরা কোথায় সরবরাহ করতে সক্ষম হব তা জানার জন্য আমাদের রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’ নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষুধার্ত। তারা তৃষ্ণার্ত। তারা অসুস্থ। তারা গৃহহীন। তাদের বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থা কি কোন মানুষ সহ্য করতে পারে।’
 
সাহায্য কর্মীদের জন্য একটি কেন্দ্র হয়ে ওঠা দেইর আল-বালাহ এলাকায় নতুন ইসরাইলি উচ্ছেদ আদেশের কারণে সোমবার গাজার মধ্যে জাতিসংঘের সাহায্য ও সাহায্য কর্মীদের চলাচল বন্ধ করার পর মসুয়া এই মন্তব্য করেছেন। ‘গাজার ৮৮ শতাংশেরও বেশি ভূ-খন্ড বিভিন্ন সময়ে ইসরাইলের খালি করার আদেশের নির্দেশ এসেছে’ এ কথা উল্লেখ করে মসুয়া বলেন, ‘অচল অবস্থায়’ বেসামরিক নাগরিকদের গাজা উপত্যকার মাত্র ১১ শতাংশের সমতুল্য এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদের আদেশ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা হচ্ছে বলে মনে হয়।’
 
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান তদন্তের আওতায় এসেছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানায়, ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে গাজায় কমপক্ষে ৪০,৬০২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। মসুয়া বলেন, ‘গত ১১ মাসে আমরা যা দেখেছি,তা আন্তর্জাতিক আইনি আদেশের প্রতি বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মানবতার মৌলিক অনুভূতির কী হলো? এই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করেছে।’
 
নিরাপত্তা পরিষদ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার, জিম্মিদের মুক্তি এবং ‘গাজায়’একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর করার আহ্বান জানান মসুয়া।
পথরেখা//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।