পথরেখা অনলাইন : রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বলেছেন।
সোমবার তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান বনরুপা বাজার, বিভিন্ন দোকানপাট, মৈত্রী বিহার, দক্ষিণ কালিন্দীপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের অগ্নিকান্ড ও ভাংচুরের পরিদর্শন করেন।
এসময় সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জবায়দা খানম ও রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়া রাজু।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা কালিন্দীপুরের প্রবেশ মুখে ঘটনার দিন এক পাহাড়ী শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, সংঘটিত সহিংস ঘটনার মূল কারণ কি ছিল তার উদঘাটন করা, ক্ষয়ক্ষতি ব্যক্তি কারা তার তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে যাতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটে তার একটা সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে। এ জন্য তদন্ত কমিটি সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শন করছে ও সবাইয়ের বক্তব্যে নেয়ার পর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ১৪ দিনের মধ্য সরকারের কাছে জমা দেবে।
সরকার যেহেতু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করছে অবশ্যই তার একটা ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়ছড়িতে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে মামুন নামে একজন গণপিটুনিতে মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ সেপ্টেম্বের দীঘিনালায় পাহাড়ীদের বাড়ীঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওইদিন বিকালে খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজার এলাকায় গুলিতে দুইজন মারা যায়। পর দিন ২০ সেপ্টেম্বের এসব ঘটনার প্রতিবাদে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বনরূপায় পৌঁছুলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসব ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি টাকারও অধিক সম্পদ।
পথরেখা/এআর