• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৩১

রাঙামাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন তদন্ত কমিটির

  • সারাদেশ       
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
  • ৪১
  •       
  • ৩০-০৯-২০২৪, ২১:১৫:৪১

পথরেখা অনলাইন : রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বলেছেন।

সোমবার তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান বনরুপা বাজার, বিভিন্ন দোকানপাট, মৈত্রী বিহার, দক্ষিণ কালিন্দীপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের অগ্নিকান্ড ও ভাংচুরের পরিদর্শন করেন।

এসময় সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জবায়দা খানম ও রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়া রাজু।  

তদন্ত কমিটির সদস্যরা কালিন্দীপুরের প্রবেশ মুখে ঘটনার দিন এক পাহাড়ী শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, সংঘটিত সহিংস ঘটনার মূল কারণ কি ছিল তার উদঘাটন করা, ক্ষয়ক্ষতি ব্যক্তি কারা তার তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে।  

তিনি আরও বলেন, সামনে যাতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটে তার একটা সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে। এ জন্য তদন্ত কমিটি সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শন করছে ও সবাইয়ের বক্তব্যে নেয়ার পর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ১৪ দিনের মধ্য সরকারের কাছে জমা দেবে।

সরকার যেহেতু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করছে অবশ্যই তার একটা ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়ছড়িতে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে মামুন নামে একজন গণপিটুনিতে মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ সেপ্টেম্বের দীঘিনালায় পাহাড়ীদের বাড়ীঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওইদিন বিকালে খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজার এলাকায় গুলিতে দুইজন মারা যায়। পর দিন ২০ সেপ্টেম্বের এসব ঘটনার প্রতিবাদে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বনরূপায় পৌঁছুলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসব ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি টাকারও অধিক সম্পদ।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।