• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:২৭

বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে

  • সারাদেশ       
  • ০১ অক্টোবর, ২০২৪       
  • ৩৯
  •       
  • ০১-১০-২০২৪, ১৩:০৪:২৯

পথরেখা অনলাইন : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আব্দুর রশীদ ও তার ভাই বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুকুরের মালিক দাবিদার মো. ইয়াহিয়া ও তার পরিবারের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাদের দাবি, ১৭ বিঘার ওই পুকুরটিতে অন্তত একশ’ মন মাছ ছিল। যার অধিকাংশই তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত দুই ভাই।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানা, ইউএনও ও সেনা ক্যাম্প বরাবর অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৭ বিঘার পুকুরটির অধিকাংশ মালিকানা (প্রায় ১০ বিঘা) প্রয়াত আজগার আলীর দুই সন্তান ও মেয়েদের। বাকি ৭ বিঘার মধ্যে সাড়ে চার বিঘা স্থানীয় গ্রামবাসীর এবং সোয়া দুই বিঘার মালিক আব্দুর রশীদ ও তার ভাই খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম। এই দুই বিঘার ক্ষমতাবলেই পুকুর কাটার দেড় বছরের মাথায় পুরোটা দখলে নেন দুই ভাই।

ভুক্তভোগী ইয়াহিয়া বলেন, ‘আমি গত ৩ দফায় ধার করে এই পুকুর সাজিয়েছি। কিন্তু প্রতিবারই রশীদ এটি ভেঙে গ্রাস করে নিয়েছেন। পুকুর কাটার দুই বছরের মাথায় গ্রাম্য নেতাদের মাধ্যমে চাপ দিয়ে আমাকে এখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় লিজ বাবদ প্রতিবছর টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও গত ১৪ বছরে আমাকে এক টাকাও দেননি রশীদ।’

তার দাবি, ‘শুধু লীজের এই টাকা (প্রচলিত নিয়মে ২০ হাজার) ধরলেও গত ১৪ বছরে রশীদের কাছ থেকে পাওনা ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তাই অবৈধ উপায়ে আজকের মাছ ধরা এবং গত ১৪ বছরের ক্ষতিপূরণ চান ভুক্তভোগী ইয়াহিয়া।’

এর আগে রশীদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকির অভিযোগ উঠে। পরে দিশা না পেয়ে পরিবারটি মামলা করে, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘গত ১১ বছর ধরে পুকুরটির মালিক আমি। অন্য মালিক এবং ইয়াহিয়ার অংশটুকুও আমার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সে দলিলও আছে। ইয়াহিয়া যে অভিযোগ করছে এসব মিথ্যা। আমার পুকুরের মাছ আমি তুলবো, বিক্রি করবো এটাই স্বাভাবিক।’

তার দাবি, ‘আদিবাসীদের বসবাস করা জমিটি তার পূর্বপুরুষ কিনেছে। সে হিসেবে তারাই ওই জমির মালিক এবং এর দলিল-কাগজপত্র রয়েছে। সেই মালিকানা চাওয়ায় ২০০৭ সালে আদিবাসী পরিবারটি মামলা করে। বর্তমানে তার জমি প্রায় একশ’ বিঘার মতো বলে দাবি করেন তিনি।’

এত জমি কিভাবে হলো জানতে চাইলে কথা বলেননি  তিনি। আরেক অভিযুক্ত রশীদের ভাই খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমরা পুকুর ভোগ দখল করছি। এখানে ইয়াহিয়ার কোনো জমি নেই। তাদের ভাইবোনের অংশ আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে অনেক আগেই। তার দলিল কাগজপত্র সব আছে। তাদের কোনো জমি নেই। মিথ্যা অভিযোগ করছে।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকালে ফোনে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিকেলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি কার কি অবস্থা সব জেনে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।