পথরেখা অনলাইন : ইজ়রায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরে মোদী সরকার আশঙ্কা করছে, পশ্চিম এশিয়া জুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে অর্থনীতি তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তার কালো ছায়া পড়বে। ভারত আজ সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি ফোনে কথার পরে আজ ইহুদি নববর্ষ উপলক্ষে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছাবার্তাতেও রয়েছে শান্তির কথা।
ইরানকে পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজ়রায়েল থেকে আমেরিকা। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এত দিন অশোধিত তেলের দাম কম থাকার সুযোগ নিয়েই দেশের বাজারে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানোর রাস্তা খুঁজছিল কেন্দ্র। ইরানের মদতপুষ্ট হিজ়বুল্লার সঙ্গে ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিদের সুসম্পর্ক রয়েছে। হুথিরাই লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের উপরে হামলা চালায়। ভারত সুয়েজ় খাল হয়ে এই পথেই ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করে। ইজ়রায়েল-ইরান সংঘাত বাড়লে এই পথে যেতে সমস্যা তৈরি হবে বলে ভারতের রফতানিকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই শঙ্কায় ছিলেন। এখন পণ্যবাহী জাহাজ অন্য পথে চালাতে হলে খরচ বাড়বে। জিনিসপত্রের দামও বাড়বে।
আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ইজ়রায়েলের তরফে গত অক্টোবরে হামাসের জঙ্গি হামলার জবাব দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু মানবাধিকার আইনও খেয়াল রাখা জরুরি। জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘আমরা সংঘাতের ব্যাপ্তি বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত। শুধু লেবানন নয়— হুথি, লোহিত সাগরের ঘটনা, ইরান ও ইজ়রায়েলের মধ্যে যা-ই হোক না কেন, তা নিয়ে চিন্তিত।’’ বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, এই সংঘাত যাতে গোটা অঞ্চলে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে ভারতীয়দের ইরান ভ্রমণ এড়াতে বলা হয়েছে।
পথরেখা/আসো