পথরেখা অনলাইন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একটা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি। আগের উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই। আগের মতো আমরা করব না। আমরা যেন সফল হতে পারি সেই চেষ্টা করব। জেলেদের যে তালিকা করা হতো, যাদের বিশেষ পদ্ধতিতে করা হতো, সেগুলো এবার থাকবে না। ফলে আশা করছি তালিকা অনেকটা স্বচ্ছ হবে। প্রকৃত জেলেরা যেন তাদের চাল ও অন্যান্য সবকিছু পায় তা মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হবে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পদ্মা নদী পাড়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় এসে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
জেলেদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আমরা ২২দিন যদি ইলিশ ধরা বন্ধ রাখি, আগামীতে তার চেয়েও বেশি পাব। আমি আপনাদের কথা রাখতে চেষ্টা করব, আপনারাও কথা দেন এই ২২ দিন আপনারা ইলিশ মাছ ধরবেন না।
আগে ২২ দিনে ২৫ কেজি চাল দেয়া হতো। এখন আমরা বাড়িয়ে ৩০ কেজি চাল দিতে চেষ্টা করব। এটা আপনাদের ন্যায্য দাবি। পরের মৌসুমগুলোতে যেন আরও বাড়াতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারে না। এটা বড় ধরনের অন্যায়। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে। এসময়টায় যদি আপনার মেনে চলেন। আর ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে পারি, তাহলে অবশ্যই বাজারে ইলিশের দাম কম হবে।’ এছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর ঘাটকে একটি মৎস্য অবতরণ ঘাট করার কথা জানান তিনি।
এসময় বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, ‘ইলিশ বর্তমানে যে পরিমাণে রয়েছে তা যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়, সেজন্য আমরা মা ইলিশ রক্ষা অভিযান কার্যকর করছি। মা ইলিশ যেন সঠিকভাবে ডিম ছাড়তে পারে তার সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোকে প্রতিনিয়ত প্রতিরক্ষা করার জন্য ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। উপদেষ্টার নির্দেশনা মতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ইলিশ বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। চাহিদার সঙ্গে যদি আমরা উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে আশা করছি দেশে ইলিশের দাম কমে আসবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম। এসময় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় ব্যক্তি ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
পথরেখা/এআর