• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪৩

শেরপুরে এখনও ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

  • সারাদেশ       
  • ১০ অক্টোবর, ২০২৪       
  • ৩৯
  •       
  • ১০-১০-২০২৪, ২১:৩৬:০৮

পথরেখা অনলাইন : শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলের ১০টি গ্রামের মানুষ আজও পানিবন্দি রয়েছে। এ সব লোকজন এক সপ্তাহ ধরে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল, কাকিলাকুড়া, তাতিহাটি ও গোপালপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বন্যা কবলিত লোকজনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া যায়। অনেক গ্রামে এখনও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি।

শেরপুর জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৫০ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও ১১শত হেক্টর জমির সবজি। জেলায় কৃষিতে অন্তত ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ মিয়া জানান, জেলায় বন্যায় সাড়ে ৬ হাজার গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত সাড়ে ১০ কোটি টাকা। পানিতে কমপক্ষে ৭ হাজার পুকুর ও মাছের খামারের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকা।

বন্যার দুর্গত এলাকায় সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হওয়ায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অতিকষ্টে দিন কাটাচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ।

শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম বাঘহাতা গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যায় তাদের বাড়িঘরে পানি ওঠে। ছেলে-মেয়ে ও শিশু সন্তান নিয়ে তারা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়। পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যায়। পানিতে তলিয়ে যায় আমন ধানের ক্ষেত। চার দিন পর বাড়ি ফিরলেও চূলায় পানি থাকায় রান্না করতে পারছেন না। খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হওয়ায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের চেঙ্গুতার এলাকার আমিন হাওলাদার বলেন, ‘পোলাপান নিয়ে মেলা কষ্টে আছি। সরহার ত্রাণ দিতাছে, আমরা ত্রাণ পাই না। কেউ আমগোর খোঁজও নেয় না।’

রানীশিমুল ইউনিয়নের ভাগহাতা গ্রামের রহিমুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এখনও ঘরে ফেরা হয়নি। ঘর ভেঙে গেছে। মানুষ রাস্তায় পাশে যাদের বাড়ি শুধু তাদের ত্রাণ দেয়। আমরা না খেয়ে থাকি, আমাদের ত্রাণ দরকার। ঘর তৈরির টিন দরকার।’

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব। জেলা প্রশাসন থেকে তালিকা সাপেক্ষে টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।