• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:৪২

আমানতের ওপর যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

পথরেখা অনলাইন : সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে টাকা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো তাদের সার্ভিস চার্জ রাখার পাশাপাশি গ্রাহকদের আমানতের ওপর সুদ দিয়ে থাকে। গ্রাহকদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা আমানতের ওপর কোনও ব্যাংক কত সুদ দেয়। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদের হারের একটি চিত্র গ্রাহকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়ী আমানতের উপর ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের (এসএনডি) ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে হলে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি বা তার বেশি হলে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় মেয়াদী আমানতে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের।

রূপালী ব্যাংক: সঞ্চয়ী আমানতের উপর ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে হলে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি বা তার বেশি হলে ৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় মেয়াদী আমানতে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের।  

জনতা ব্যাংক: সঞ্চয়ী আমানতের উপর ৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে ৪ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি বা তার বেশি হলে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের সাড়ে ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদী আমানতে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। জনতা ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতে যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে একই সুদের চিত্র বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (বিডিবিএল)।

অগ্রণী ব্যাংক: এই ব্যাংক সেপ্টেম্বরে গ্রাহকদের সঞ্চয়ী হিসাবের উপর ৩ শতাংশ সুদ দিয়েছে। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানত ওপর ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি টাকা পর্যন্ত ৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিয়ে থাকে ব্যাংকটি। এ ছাড়া, মেয়াদী আমানত (ফিক্স ডিপোজিট)-এর উপর ব্যাংকটি সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ পর্যন্ত মেয়াদে আমানত রাখলে সাড়ে ৮ শতাংশ, ৬ মাস থেকে এক বছরের কম সময় পর্যন্ত ৮.৬২ শতাংশ, এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদে আমানত রাখলে সাড়ে ৮ শতাংশ, ৩ বছর বা তার বেশি মেয়াদে আমানত রাখলে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে ব্যাংকটি।

বেসিক ব্যাংক: সেপ্টেম্বরের ব্যাংকটি সঞ্চয়ী আমানতের ওপর সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ দিয়েছে। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে হলে ৪ থেকে ৫ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি টাকা বা তার বেশি হলেও একই সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের ৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় মেয়াদী আমানতে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।