পথরেখা অনলাইন : বর্তমানে বাজার অনুসারে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কাঁচামরিচ পৌঁছাতে মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীর হাতে যাচ্ছে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা হাট থেকে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় মরিচ ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে ৩২০ টাকা কেজি মরিচ সাধারণ ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা লাভ তুলে নিচ্ছেন।
নওগাঁ জেলার সবচেয়ে বেশি কাঁচামরিচ উৎপাদিত হয় মহাদেবপুর, বদলগাছী, সদর এবং মান্দা উপজেলায়। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে মোট কাঁচামরিচ উৎপাদিত হয়েছে ৯৬৫ হেক্টর জমিতে। উল্লেখিত পরিমাণ জমি থেকে এ মৌসুমে মোট ১৯৩০ মেট্রিকটন মরিচ উৎপাদিত হয়েছে।
মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর, চকগৌরী, মাতাজীহাটসহ বিভিন্ন হাট, বদলগাছী উপজেলার বদলগাছী, কোলা, ভান্ডারপুরসহ বিভিন্ন হাট, সদর উপজেলার কিত্তীপুর, সোমবারীসহ বিভিন্ন হাট এবং মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর, সতিহাটসহ বিভিন্ন হাটে কৃষক পর্যায়ে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ'র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন মরিচ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ মরিচ শেষ হতে হতেই শীতকালীন মরিচ বাজারে আসতে শুরু করবে। মরিচের মূল্য তখন কমে যাবে।জেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন মরিচ চাষ হচ্ছে। মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
পথরেখা/এআর