পথরেখা অনলাইন : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করার অপরাধে লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ৬ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ।রোববার বিকেল ৪টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মেঘনার মতিরহাট, লধুয়া ও বাত্তিরখালসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেক জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় ইলিশ ধরার অপরাধে উপজেলার চরকালকিনি আবদুল আলিমের ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৫), কামাল হোসেনের ছেলে আব্বাছ উদ্দিন, সৈয়দ আহমদের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৫), সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাটের মফিজ মাঝির ছেলে মো. সুমন হোসেন (২৮), চররমনী মোহনের লাল মিয়ার ছেলে রহিম বাদশা (৩০) ও ভোলার চরকালরিন্দাসুর এলাকার আজিজ মাঝির ছেলে সবুজ মিয়া (২৫)কে আটক করা হয়।
পরে কমলনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস রোববার রাত ১০টায় মাতাব্বরহাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক প্রত্যেক জেলেকে জরিমানা করেন। এছাড়া সোমবার সকাল ৮টায় মজুচৌধুরীরহাট ও রামগতির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য অফিস কার্যালয় সূত্রে জানায়, ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, প্রায় ৭০ কেজি ইলিশ ও ২১ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৯জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ১২জনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় ও জাটকা সংরক্ষণের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মাছ শিকারে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার ইলিশের অভয়শ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ একশ কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরা ও জালফেলা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করছে মৎস্য বিভাগ।
পথরেখা/এআর