• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫২

শেরপুরে মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে পিঠার দোকান

পথরেখা অনলাইন : আর কদিন পরই শীতকাল। এদিকে শীতের আগেই শেরপুরে বিক্রি হচ্ছে নানা রকম পিঠা পুলি। বিকেল থেকে জেলা শহরের মোড়ে মোড়ে জমতে শুরু করে পিঠার দােকান। যেখানে প্রতিদিন সন্ধা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব দোকানে পিঠা খেতে ভিড় করে নানা বয়সী মানুষ।এদিকে প্রতিদিন ভালো পিঠা বিক্রি হওয়ায়  মৌসুমী এ ব্যবসায় কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।

সরজমিনে দেখা গেছে, শেরপুর জেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, কলেজ মোড়, খরমপুর মোড়, তেরাবাজার মোড়, শহীদ বুলবুল সড়ক , নিউমার্কেট মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে পিঠা। কেউ মাটির চুলায় লাকড়ি ব্যবহার করে পিঠা তৈরি করছেন। কেউবা আবার এক চাকার বিশেষ বাহন ঠেলাগাড়ীতে করে পিঠা বিক্রি করছেন। যেখানে ভাঁপা পিঠা, পুলি পিঠা, মোটা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম পিঠাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ও ঝাল পিঠা বিক্রি হচ্ছে। ভাঁপা পিঠা ও পুলি পিঠাতে গুড় নারিকেলের ব্যবহার থাকলেও মোটা পিঠা ও চিতই পিঠাতে ক্রেতাদের জন্য রাখা থাকে সরিষা ভর্তা, শুটকি ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তাসহ নানা  রকম মুখরোচক ভর্তা। এসব পিঠার দাম ৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকার মধ্যে।

নতুন বাসটার্মিনাল এলাকায় পিঠা খেতে আসা চাকুরিজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, এ দেশের মানুষ নানা আধুনিকতায় ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে। বাংলাদেশ পিঠা পুলির দেশ হলেও বর্তমানে বাসা বাড়িতে ও গ্রাম গঞ্জে পিঠা তৈরির উৎসব হয় না।  তাই শহরের এসব পিঠার দোকান থেকেই পিঠা কিনে খাই।

তেরাবাজার মোড়ে পিঠা খেতে আসা কলেজ ছাত্র রুমান শেখ জানান, সন্ধায় কোচিং শেষ করে বন্ধুরা মিলে পিঠা খেতে আসি। পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের আড্ডা দেওয়াটাও জমে উঠে। শহরের মোড়ের এসব দোকানে পিঠা খেতে এসে অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আবার ফেরার পথে পিঠা কিনে মা-বাবা, ভাই-বোনদের জন্যও নিয়ে যাই।

পিঠা বিক্রেতা জলিল বলেন, এক সময় শীতে প্রতিটি বাড়িতে পিঠা তৈরি হতো। গ্রামের বাড়ি গুলোতে থাকতো ঢেঁকি। যেটা দিয়ে পিঠার জন্য চাল গুড়ো করা হতো। কিন্তু আধুনিকতা আমাদের কাছ থেক সব কেড়ে নিয়েছে। এখন শহরের বিভিন্ন মোড়ের পিঠার দোকানগুলো পিঠা প্রেমী মানুষদের একমাত্র ভরসা। আমি প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি চাল গুড়ো করে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকার মত পিঠা বিক্রি করি। চাল, গুড়, লাকড়িসহ অন্যানো খরচ বাদ দিয়ে ভালই লাভ থাকে।

পিঠা বিক্রেতা হাশেম মিয়া জানান, তিনি দিনে শ্রমিকের কাজ করেন এবং রাতে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন যা আয় হয় সেখান থেকে খরচ বাদ দিয়ে বাড়তি আয়ের টাকা দিয়ে সংসারের অন্যানো খরচ মেটান। তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সময়ে বাসা বাড়িতে পিঠা তৈরি হয়না বলে আমাদের দোকান গুলোতে প্রচুর ভিড় থাকে। প্রতিদিন ভালো বেঁচা বিক্রিও হয়। সন্ধা থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি চলে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।