• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
    ২৯ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৮:৫৯

বিপিএলের মান বাড়ানোর পাশাপাশি থাকছে নানা সুবিধা

পথরেখা অনলাইন : ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমা বাজারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অবস্থা নিচের দিকে। বাংলাদেশের অনেক পরে শুরু করে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ অনেক উপরে চলে গেছে। ক্রিস গেইল, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, শহিদ আফ্রিদি, আন্ত্রে রাসেল, সুনীল নারিনের মতো বিশ্ব তারকারা খেললেও এখন আর সেই মানের খেলোয়াড় খেলতে দেখা যায়না। মোদ্দ তথা বাংলাদেশের এই লিগটা আগের সেই গুরুত্ব পাচ্ছেনা। এবার অন্তবর্তীকালীন সরকার নতুন করে পুরনো রুপে বিপিএলকে ফেরাতে চাইছেন। বলা যায় মান বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টাই করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা। বিপিএলের আগের সেই জৌলুশ এখন আর তেমন দেখা যায় না। আইপিএলের পর বড় পরিকল্পনা নিয়েই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। অনেক পরে শুরু হওয়ার পরও অন্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট এগিয়ে গেলেও পিছিয়েছে বিপিএল। তবে এবার নতুনভাবে বিপিএলকে বিশ্বে পরিচয় করে দিতে চায় লিগ কর্তৃপক্ষ ও বিসিবি। সেই আশার বাণীই শোনালেন বিসিবি বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
 
বিপিএলের জৌলুশ ফেরাতে কর্তৃপক্ষ হলিউড বা বাইরের তারকা নিয়ে আসতে চায় জানিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তি আছেন বলেই সেই স্বপ্ন দেখছেন বোর্ড পরিচালক ফাহিম, ‘বিপিএলে জৌলুস ফেরাতে নিজের উদ্যোগেই কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা এগিয়ে আসছেন। তাঁরা বিশেষভাবে এটা নিয়ে কাজ করছেন। কীভাবে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ড করে তোলা যায়, কীভাবে এটাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়...বিশ্ব যেন দেখে বাংলাদেশের তরুণেরা কী করতে পারে, বাংলাদেশের খেলা কেমন।’ বিপিএলে বাইরের তারকা এনে প্রচারের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কিছুই সম্ভব না। গ্লোবালি (বৈশ্বিকভাবে) সব টিভিতে যেতে পারব তা নয়। যদি প্রফেসর ইউনূস মাঠে আসেন, একটা বক্তব্য দেন...আমরা যদি দেখি বিদেশ থেকে দারুণ নামকরা একজন ফুটবলার, হলিউড থেকে দারুণ একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী এখানে আসছে, এটার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে, এটা নিশ্চয় মিডিয়াতে আসবে’।
 
ইঙ্গিত দিলেও কে বা কাদের আনবেন সেটি অবশ্য খোলাসা করেননি নাজমুল আবেদীন ফাহিম। স্পোর্টস বা স্পোর্টসের বাইরেও তারকা আসতে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখনই নাম বলতে পারছি না বা বলতে চাই না। ক্রিকেট হতে পারে বা বাইরের অন্য স্পোর্টসের হতে পারে। স্পোর্টসের বাইরেও হতে পারে। এমন কাউকে এবার দেখতে পারি।’ কদিন আগে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে বিপিএলের নামও। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো অভিযোগ না পেলেও ফাহিম জানিয়েছেন, এখন থেকে কর্তৃপক্ষ দুর্নীতির বিষয়ে সচেতন থাকবে। বোর্ড পরিচালক এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের অ্যান্টি-করাপশনের যে দলটা তারা কিন্তু এবার সক্রিয় থাকবে। আমরা অ্যান্টি-করাপশন সংক্রান্ত যেসব প্রোগ্রাম করা প্রয়োজন, খেলার সচেতনতা বা ম্যানেজমেন্টের সচেতনতার বা মালিকদের সচেতনতার জন্য, সেগুলো আমরা করব। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যাতে এসব দুর্নীতির ঘটনা না ঘটে। যদি ঘটে আমরা কিন্তু এবার প্রতিক্রিয়া দেখাব। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ, বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে মনে হয় না ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। আমার মনে হয় বিসিবি বা বিপিএল কর্তৃপক্ষ এটাকে শক্তভাবে দেখবে।’
 
এদিকে বিপিএলে দর্শকদের জন্য এবার থাকছে বিশেষ সুবিধা। বিপিএল নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। প্রতি আসরেই কোনো না কোনো ঝামেলা লেগে থাকে টুর্নামেন্টে। খেলা দেখতে এসে দর্শকও নানা রকম সমস্যায় পড়েন। এবার দর্শকদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ১১তম বাংলাদেশ বিপিএল গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিং স্বত্ব এবার পেয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। জানা গেছে, ৫ কোটি টাকায় ইমপ্রেস মাত্রা কনসর্টিয়াম এই ব্র্যান্ডিং স্বত্ব ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির কাছে বিক্রি করেছে। এবারের বিপিএলের অফিশিয়াল নাম হবে ‘ডাচ-বাংলা ব্যাংক বিপিএল টি-টোয়েন্টি, পাওয়ার্ড বাই রকেট’। নেক্সাসপে থাকছে সহপৃষ্ঠপোষক হিসেবে। মিরপুরে বুধবার বিসিবির মিডিয়া কনফারেন্স রুমে পৃষ্ঠপোষকদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে ফাহিম বলেন, ‘বিপিএলকে আরও মনোরম ও দর্শকবান্ধব করতে আমরা কাজ করছি। আমরা চাই বিপিএলের মাধ্যমে দেশের মানুষ যেন ক্রিকেটের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়। আসরটি যেন তাদের জন্য একটি আনন্দময় উপলক্ষ হয়ে ওঠে।’ এবারের বিপিএলে মাঠের পরিবেশ উন্নত করতে বিসিবি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বিসিবি, জানা গেছে ‘মাঠে দর্শকদের বিনা মূল্যে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের আর পানির জন্য অর্থ ব্যয় করতে না হয়। পাশাপাশি, খাবারের মান বিবেচনা করে সহনীয় দামে সেগুলো বিক্রি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন। 
পথরেখা/আসো 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।