• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
    ২৯ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:০০

বরগুনায় বিলুপ্ত হচ্ছে নানা প্রজাতির পাখি

  • সারাদেশ       
  • ১০ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ১০-১১-২০২৪, ১৩:৫৯:৪০

পথরেখা অনলাইন : উপকূলীয় বরগুনা জেলায় বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষসৃষ্ট পরিবেশ দূষণের কারনে এক সময়ের সুপরিচিত বউকথা কও, বালিহাঁস, সরাইল, রাতকানা, কানাবক, লালবক, গুজিবক, জ্যাঠাবক, ডুবডুবি, ধুসর কায়েল, তোতাপাখি, টিয়া, ঘুঘু, দলঘুঘু, সুঁইচোর, ডাহুক, পানকৌড়ি, কোরা, বদর কবুতর, সাতভায়রা, মাছরাঙ্গা, গাংচিল, ফেচকে, কাঠঠোকরা, দোলকমল, দইরাজ, চড়ুই,  তিত-মুরগী প্রভৃতি পাখি এখন আর সচরাচর দেখা যায়না।

প্রাকৃতিক দুূর্যোগ ও জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, দুূর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ে বরগুনায় কাজ করছেন বেসরকারি সংস্থা এনএসএস পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, জলবায়ূ পরিবর্তন জনিত ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বন্যা, ঝড় এবং তীব্র তাপদাহে দেশীয় প্রজাতির পাখির জীবনধারন সরাসরি এবং দুর্যাগ পরবর্তী সময়ে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হয়। দুর্যোগে ব্যাপক প্রাণহানি এবং পরে খাদ্যাভাবসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পাখির সংখ্যা ক্রমশঃ কমছে।

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও পাখির জন্য হুমকী হয়ে পড়েছে। আলাপকালে জানালেন, আমতলী সরকারি কলেজের পদার্থ বিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কর্মকার। তিনি মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলোর তেজস্কৃয়তার (রেডিয়েশন) কথা উল্লেখ করে জানান, যেসব এলাকায় এ টাওয়ারগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেইসব এলাকায় টাওয়ারের কাছাকাছি ওই প্রকারের তেজস্কৃতায় অভিযোজন ক্ষমতাহীন চড়ুই পাখি বিরল হয়ে পড়ছে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কৃষকরা কোন কিছু না ভেবেই বেশীরভাগ জমিতে আগাছা নাশক, কীটনাশক ও জমিশোধক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন। ফসলের ক্ষেতে ক্লোরোনেটেড হাইড্রো কার্বনযুক্ত কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহার পাখি বিলুপ্তির প্রধানতম কারণ। এসব রাসায়নিক যে কোন প্রাণি দেহে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আহসান জানান, রাসায়নিক কীটনাশকের অব্যাহত অপরিমিত ব্যবহারের ফলে শক্তিশালী প্রাণিদেহেও বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। এসবের প্রতিক্রিয়ায় স্ত্রী পাখির জননতন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়ার ব্যর্থতায় পাখিকুল বিলুপ্ত হচ্ছে। কীটনাশকের মধ্যে ডিডিটির প্রভাব সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও মারাত্মক। তিনি আরও বলেন, ভিটামিন ও খাদ্যে ক্যালসিয়ামের অভাবে পাখি ও হাঁস-মুরগির ডিমের খোসা পাতলা হয়। ডিডিটি এসব প্রাণিদেহের ক্যালসিয়াম বিপাক ও তার অতি প্রয়োজনীয় উৎসেচক কার্বলিক অ্যানহাউড্রেন প্রবাহ নিবৃত্ত করে, বাঁধাপ্রাপ্ত হয় লিভার থেকে নির্গত উৎসেচক অস্টোজেন। এ জন্য ডিমের খোসায় ক্যালসিয়ামের আস্তরণ ঠিকমতো জমে না। অনেক সময় আবার খোসাই হয় না। ফলে ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এসকল কারনে পাখিকূলের বংশবৃদ্ধিই বন্ধ হয়ে পড়ে।

উদ্ভিদের ফলবতি হওয়া ও বংশ বিস্তারের জন্য পরাগায়নের অন্যতম মাধ্যম পতঙ্গ। অপরিকল্পিত রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় ধ্বংস করতে গিয়ে উপকারী পোকাও মারা পড়ছে। এতে উদ্ভিদের ক্ষতির পাশাপাশি পাখিদের খাদ্যাভাব বা বিষক্রিয়া দেখা দেয়। আমরা প্রাকৃতিকভাবে পোকা দমনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করছি। জানালেন, কৃষি বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক এসএম বদরুল আলম।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।