• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৫

মেয়ে-জামাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ বাবার পুলিশ গিয়ে পেল মরদেহ

  • সারাদেশ       
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৪       
  • ১৮
  •       
  • ১২-১১-২০২৪, ১৬:০৮:১১

পথরেখা অনলাইন : বসতভিটার ১২ শতক জমি লিখে নিতে চায় মেয়ে ও তার স্বামী। দিতে অস্বীকার করলে মারধর আর নির্যাতনের শিকার হতেন বৃদ্ধ বাবা টুরু মিয়া। এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর ভূক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আর অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে টুরু মিয়ার মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ।

এমনই ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায়। বিষয়টি সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্জাহান আলী।

এর আগে ১০ নভেম্বর বিকাল ৪টায় উপজেলার জাইজাতা গ্রামে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পায়। মরদেহে বুকের ডান পাশে অনেকটা জায়গা জুড়ে কালো জখমের দাগ আর ডান হাতের কবজির উপরে ছিল ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন।

পুলিশের ধারণা, মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মেয়ে-জামাতাকে আটক করে পুলিশ।

ওসি শাহ্জাহান আলী বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাইজাতা গ্রামের মৃত আফছার আলী মন্ডলের বড় ছেলে টুরু মিয়া। বয়স প্রায় (৮৫) বছর। যুবক বয়সে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর টুরু মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের এক ছেলে সন্তান আছে। বনিবনা না হওয়ায় সে মহাদেবপুর উপজেলায় মাতাজীহাট সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামে বসবাস করে। আর দ্বিতীয় পক্ষের দুই কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন টুরু মিয়া।

ছেলে সন্তান না থাকায় আব্দুস সালাম নামের এক যুবকের সাথে বড় মেয়ে আঙুরের বিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরজামাই রাখে টুরু মিয়া। বেশ ভালোই চলছিলো সংসার। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে বসত বাড়ীর জমি লিখে নিতে চায় মেয়ে-জামাই। বাবা দিতে অস্বীকার করলেই করতো মারধর। মেয়ে-জামাইয়ের নিষ্ঠুর আচরণে বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ বয়সে একমুঠো খাবার যোগানের জন্য ভিক্ষা করতেন টুরু মিয়া।

স্থানীয়রা বলছেন, মাঝে মাঝে বৃদ্ধ বাবা টুরু মিয়াকে মারধর করতো তার মেয়ে-জামাই। মারধর করার জন্য এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্রামে এবং থানায় শালিস হয়েছিল। কয়েকদিন ভালো থাকার পর আবারও মারধর করা হতো তাকে। অপরদিকে অভিযুক্তরা থানা হেফাজতে থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।