• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
    ২৯ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৪:৫৯

ভয়াল ১২ নভেম্বর : আজও আঁতকে ওঠেন উপকূলবাসী

  • সারাদেশ       
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ১২-১১-২০২৪, ১৬:২৯:৫২

পথরেখা অনলাইন : আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এইদিনে উপকূলে আঘাত হানে প্রলঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় গোর্কী।  এতে প্রাণ হারায় লক্ষাধিক মানুষ। সেই ঝড়ের কথা মনে করে আজও আতঁকে উঠেন সমগ্র উপকূলের মানুষ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে বিরান ভূমিতে পরিণত হয় সমগ্র উপকূল।দিনটির কথা মনে করে আজও আঁতকে উঠেন স্বজনহারা মানুষ।

তখন ভোর প্রায় সাড়ে ৩টা, হঠাৎ বাতাসের শব্দ। কিছু বুঝে উঠার আগেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো ভোলাসহ দেশের বেশীরভাগ উপকূল।

জোয়ারে ভেসে যায় মানুষ। সবার যেন বাঁচার আকুতি-আর্তনাদ। মুহূর্তের মধ্যে চোখের সামনে ভেসে যায় মানুষ-পশুপাখির লাশ।

’৭০এর ১২ নভেম্বরের দিনটি ছিল এমনি বিভিষিকাময়। যেখানে ঘূর্ণিঝড় গোর্কীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে ধ্বংসলীলায় পরিণত হয় দেশের উপকূলীয় এলাকা। তবে সবচেয়ে বেশি প্রনাহানি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় জেলা ভোলা।

এক এক করে ৫৪ বছর কেটে গেলেও সেই দিনটির কথা ভুলতে পারেননি ভোলাবাসি। স্বজনহারা মানুষের
বর্ণনায় উঠে আসে চারদিকে লাশের সারি। জীবন বাঁচাতে তারা শেষ পর্যন্ত কত লড়াই করেছিলেন। কোন লাশ গাছে ঝুলে আছে আবার কোন লাশ মাটিতে পড়ে আছে।

সেই ঝড়ে কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউ মা, কেউবা পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তিকে। স্বজনহারারা এখনও বাকরুদ্ধ। স্বজনদের হারিয়ে আজও কেঁদে উঠেন ওইসব পরিবারগুলো।

এদিকে ১২ নভেম্বরের মত ভবিষ্যতে যাতে এমন ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেজন্য সর্বদাই প্রস্তুতির কথা জানালেন প্রশাসনের কর্মকর্তা। ১২ নভেম্বরকে স্মরণ রাখতে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি বিভিন্ন সংগঠনের।

এদিকে, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘূর্নিঝড় গোর্কিতে প্রাণ হারায় কুয়াকাটা-কলাপাড়া উপজেলার ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিহত এসব মানুষদের স্মরণে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শতাধিক মোমবাতি প্রজ্জ্বল করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মাননু ও আমরা কলাপাড়াবাসীর সভাপতি নজরুল ইসলাম। বক্তারা ১২ নভেম্বরকে সরকারিভাবে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।