• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
    ৩০ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:৪৩

সবার সঙ্গে মিলে মুনতাহাকে খুঁজেছিল ঘাতকেরা

  • সারাদেশ       
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ১২-১১-২০২৪, ১৬:৫১:৩১

পথরেখা অনলাইন : সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদানে রাজি না হওয়ায় আলোচিত এ মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আসামিদের রিমান্ডে নেয়।

এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সিলেটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তদন্তের পর বিচার দাবি করেছেন সাধারণ মানুষ।

রোববার সিলেটের কানাইঘাটের বীরদল গ্রামে পুঁতে রাখা লাশ সরানোর সময় উদ্ধার হয়েছিল শিশু মুনতাহার মরদেহ। এর আগে ৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল মুনতাহা। বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘরের আলিফজান বেগম ও তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া গলায় রশি পেছিয়ে মুনতাহাকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আলিফজান, মার্জিয়া, নাজমা ও ইসলামউদ্দিনকে সোমবার বিকেলে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামসুল আরেফিন আদালতে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি প্রদান না করায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এতে হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ কর্মকর্তাদের।

পুলিশের ধারণা, পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জের ধরে ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেছে ঘাতকরা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, গত তিন নভেম্বর দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল মুনতাহা আক্তার জেরিন। সেদিন বিকাল থেকেই নানা দিকে খোঁজ চালানো হয় নিঁখোজ মুনতাহার। সেদিন থেকে মুনতাহাকে খুঁজতে সবার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন ঘাতক মার্জিয়া ও তার মা আলিফজানও।

তারা মুনতাহার পরিবারসহ গ্রামের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন শিশুটির। তাদের আচরণে কেউ বুঝতেই পারেনি এই ঘটনায় তারা সম্পৃক্ত।

শিশু মুনতাহা হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকায়। ঘটনায় জড়িত সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনে বিচার করার দাবি জানান সচেতন মহল।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসান বলেন, আমাদের গ্রামের এই ঘটনা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কানাইঘাটের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে যেন রেহাই না দেওয়া হয়। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।