• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৬

‘জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ’

  • জাতীয়       
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২৪       
  • ১৭
  •       
  • ২৩-১১-২০২৪, ১৪:১২:০৮

পথরেখা অনলাইন : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা; আওয়ামী লীগের নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীরা অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে অগণিত মামলা দায়ের করা হয়েছে, শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়াও। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ  আর রাজনীতি করতে পারবে কিনা?

অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা ও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অবশ্য বলছে, গণহত্যার বিচারের পরই কেবল আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার সুযোগ পাবে। দাবি উঠেছে, দেশের জনগণের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার। এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রস্তুত।  

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সেটি ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ারও করা হয়েছে।

সাক্ষাতকারে বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ যে ভূমিকা নিয়েছিল, তা নিয়ে দলটির কোনো অনুশোচনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ফোনালাপে নাছিম আরও বলেন, অনুশোচনা কি কারাগারের ভেতরে বসে করবে আওয়ামী লীগ? নাকি জঙ্গলে-পাহাড়ে বা নির্বাসনে থেকে অনুশোচনা করবে? কীভাবে করবে? সেজন্য তো উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, সেই সুযোগটা কি দেশে আছে এখন? স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে নিজেরা দলগত মূল্যায়নের মাধ্যমে ভুল চিহ্নিত করে আমরা কি ক্ষমা চাইতে পারি না?

শেখ হাসিনা, এমপি-মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারণী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে দেশ ছেড়েছেন। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এ প্রসঙ্গে নাছিম বলেন, কৌশলগত কারণে দেশের বাইরে অবস্থান করছি, উপমহাদেশের রাজনীতিতে এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। যারা এখন বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে রাজনীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে।

জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলনকারীদের নিহতের ঘটনায় সারা দেশে শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের নামে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার ব্যাপারে বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, দলের মন্ত্রী, এমপিসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নামে আড়াই শতাধিক মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে শীর্ষ নেতারা। আত্মগোপনে রয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে রয়েছে গণহত্যার অভিযোগ, অথচ উপদেষ্টারা দেশে-বিদেশে বলে বেড়াচ্ছেন এই আন্দোলন পরিকল্পিত ছিল, তাহলে অভিযোগ কেন আমাদের দিকে? আর গণহত্যার বিচারের জন্য প্রধান কৌঁসুলি নিয়োগ দিয়েছে যে কিনা সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবী ছিলেন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।