• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:০৩

বেতকা-তেঘড়িয়া সড়কে মোল্লার হাট সেতুর নির্মাণ কাজ ৬ বছরেও শেষ হয়নি

  • সারাদেশ       
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২৪       
  • ৩১
  •       
  • ২৪-১১-২০২৪, ১৭:০৩:২২

পথরেখা অনলাইন : বেতকা - তেঘরিয়া সংযোগ সড়কটিতে ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর মোল্লার হাট সেতুর নির্মাণ কাজ ছয় বছরেও শেষ  হয়নি।এর ফলে মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এতে সড়ক পথে জেলা সদরসহ তিন উপজেলার  ঢাকাগামী যাত্রীদের যাতায়াতে চরম দুূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।

দীর্ঘ কয়েক যুগেও মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। মুন্সীগঞ্জ সদরসহ তিন উপজেলা সদর, টংগিবাড়ী এবং সিরাজদিখানবাসীকে মুক্তারপুর-পঞ্চবটি  অপ্রশস্ত সড়কে যানজটের মধ্যে দিয়ে ঢাকায়  যাতায়াত করতে হচ্ছে । ফলে এ এলাকার ঢাকা গামী যাত্রীদের যাতায়াতে চরম দুূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০০২ সালে বেতকা - তেঘড়িয়া সংযোগ সড়কের  নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় ২০.৩৭ কি.মি দীর্ঘ সড়কটি মুন্সীগঞ্জের বেতকা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘড়িয়া হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। ইতমধ্যে বেতকা থেকে মোল্লার হাট পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বেতকা-তেঘড়িয়া সংযোগ সড়কটিতে সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের মোল্লার হাট এলাকায় ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ শত ৫২ মিটার দীর্ঘ সেতুটির  নির্মাণ কাজ  গত ২০১৮ সালে শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বৃদ্ধি করে সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। ২০২৪ সালে এসেও  গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী  মোঃ আরিফ উর রহমান  জানান , ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুরমা এন্টারপ্রাইজ   সময় মতো কাজ শেষ না করায় তাদেরকে দেয়া কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে।  দ্রত নির্মাণ কাজ শেষ করতে নতুন করে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। কার্যাদেশ দেবার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  সেতুর নির্মাণ কাজ ৭০ ভাগ  শেষ হয়েছে  নদীর  মাঝের দুইটি পিলারে স্লাব বসানোর কাজ বাকী রয়েছে।অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

বেতকা - তেঘড়িয়া সংযোগ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা মোল্লার হাট এলাকায় এসে নৌকা দিয়ে নদী পার হচ্ছে । প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার  যাত্রী এ সড়কে যাতায়াত করে। এ পথের যাত্রীদের বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে । টংগীবাড়ী উপজেলার বিটি কলেজ এলাকার  ব্যবসায়ী আলী নূর তালুকদার ঢাকার ধনিয়ায় থাকেন। নিয়মিত এপথে যাতায়াত করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , দীর্ঘ ৬ বছেরেও মোল্লার হাট ব্রীজের কাজ শেষ হলোনা। ব্রীজটি চালু হলে আমরা সরাসরি ঢাকা থেকে টংগিবাড়ীতে যেতে পারতাম। ঢাকার গেন্ডারিয়া নিবাসী শাহ আলম বলেন , ব্রীজের কাজ শেষ হলে আমরা স্বল্প সময়ে কম খরচে বাবু বাজার হয়ে মতিঝিল চলে যেতে পারতাম।এখন আমাদের ভেংগে ভেংগে যাতায়াত করতে হয়।

বেতকা-তেঘড়িয়া সড়কে সরাসরি  যানবাহন চলাচল শুরু করলে  মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে সড়ক পথে ঢাকার দূরত্ব যেমন কমে আসবে তেমনি মুন্সীগঞ্জ , টংগীবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকাগামী যাত্রীরা  খুব সহজে যানজট মুক্তভাবে ত্রিশ মিনিটে ঢাকায় যেতে পারবে। পাশাপাশি এ এলাকায় কৃষি ভিত্তিক শিল্পের প্রসার ঘটবে । বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জোরদার হবে এবং  ঢাকার দক্ষিণ দিকে উপশহর সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূ’মিকা রাখবে। সংযোগ সড়কটি চালু হলে মুন্সীগঞ্জ থেকে কৃষি পণ্য সহজে , স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে ঢাকার কারওয়ান বাজারের পাইকারী আড়েৎ পরিবহন করা যাবে।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।