পথরেখা অনলাইন : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমার ৩০-৩৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বলছে, সামনের নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। কারণ মানুষের চিন্তা ধারার পরিবর্তন হয়েছে। তাই আমরা যদি কোনো ভুল করে থাকি তাহলে নিজেদের সংশোধন করতে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সোমবার বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ত বিষয়ক ময়মনসিংহ বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন আমরা এখনি ক্ষমতায় চলে গেছি, কিন্তু তা নয়। ক্ষমতায় যেতে হলে জনসমর্থন প্রয়োজন। জনগণের সমর্থন আমাদের আদায় করতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে। তাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। নেতাদের চাল-চলনে মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বলেই ৩১ দফা দিয়েছে। এমনকি আমাদের সঙ্গে থাকা সমমনা দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছিল এই ৩১ দফা নিয়ে। এখন জেলা, উপজেলা এমনিক ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে হবে।
কর্মশালায় বিএনপির এক নেতার প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, একটি দেশকে শক্তিশালী করতে হলে প্রাইমারি শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে। দালান কোঠা নির্মাণ কমিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের সমাজে যাদের গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি একটি দেশকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করণ করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করবো। এক বিঘা জমি চাষ করতে যদি একজন কৃষককে ২০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়া যায়, তাহলে তারা ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবে। একজন কৃষকের জন্য বড় পাওয়া হবে। প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হবে ফ্যামেলি কার্ডও, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের সার্পোট করার জন্য। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এমন সুবিধা দেয়া হবে বলে জানান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
কৃষকদের নিয়ে বিএনপি এর আগে সকাল ৯টায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ঈসমাইল জবি উল্লাহ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মাহাদী আমিন, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবীবা।
কর্মশালাটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী। এ কর্মশালায় ৩৬০ জন ডেলিগেট অংশ নেন।
পথরেখা/এআর