• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:০০

কিশোরগঞ্জে ৪০ হাজার কৃষক পাচ্ছেন বোরো বীজ

  • কৃষি বার্তা       
  • ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  • ২৫
  •       
  • ০৫-১২-২০২৪, ২০:১৪:২৭

পথরেখা অনলাইন : জেলায় এ বছর প্রায় ৪০ হাজার প্রান্তিক কৃষককে সরকারিভাবে ৮০ হাজার কেজি বোরো ধানের  বীজ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

বর্তমানে জেলার হাওর এলাকায় পুরোদমে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আবহাওয়া বীজ বপনের অনুকূলে থাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকদের। তবে আগাম বন্যা, ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, কৃষি যন্ত্রপাতি, সার কীটনাশক ও ডিজেলের দাম বাড়ায় শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এ কারনে দিনদিনই ধান চাষে আগ্রহ কমেছে কৃষকদের।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার ৫টি আংশিক ও তিনটি সম্পূর্ণ হাওর অধ্যুষিত। এর মধ্যে তিন হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি বোরো ধানের আবাদ হয়ে থাকে। এবার জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। এবার জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ২৮০০জন কৃষককে ৫৬০০ কেজি বীজ, সদর উপজেলায় ৩১০০জন কৃষককে ৬২০০ কেজি বীজ, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৩১০০জন কৃষককে ৬২০০ কেজি বীজ, কটিয়াদী উপজেলায় ৩১০০জন কৃষককে ৬২০০ কেজি বীজ, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩১০০জন কৃষককে ৬২০০ কেজি বীজ, তাড়াইল উপজেলায় ৩০০০জন কৃষককে ৬০০০ কেজি বীজ, ইটনা উপজেলায় ৩৩০০জন কৃষককে ৬৬০০ কেজি বীজ, মিঠামইন উপজেলায় ৩৩০০ জন কৃষককে ৬৬০০ কেজি বীজ, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩৩০০জন কৃষককে ৬৬০০ কেজি, নিকলী উপজেলায় ৩১০০জন কৃষককে ৬২০০ কেজি বীজ, বাজিতপুর উপজেলায় ৩২০০জন কৃষককে ৬৪০০ কেজি বীজ, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২৮০০জন কৃষককে ৫৬০০ কেজি ও ভৈরবে উপজেলায় ২৮০০জন কৃষককে ৫৬০০ কেজি বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

এতে জেলার প্রায় ৪০ হাজার কৃষককে ৮০ হাজার কেজি বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলে কৃষকেরা একমাত্র ফসল বোরোর আবাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই হাওরে বোরো ধানের মৌসুমকে ঘিরে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। এবার জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমি বীজতলা তৈরি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬১১.৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের, ২ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ও ১৯.৩৩ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের চারা উৎপাদন করা হবে।

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ডিজেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে জমি চাষ, সেচ ও শ্রমিকের মূল্য। বাধ্য হয়ে খরচ পুষিয়ে নিতে নির্দিষ্ট সময়ে ধান রোপণের লক্ষ্যে শীত উপেক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এরই মধ্যে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কামরুজ্জামানের মতো হাজার হাজার কৃষক বছরের একমাত্র ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে দিন রাত এক করে কাজ করেন হাওরে।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর কৃষকদের সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া জেলার প্রায় ৪০ চাষীকে বোরো আবাদে জন্য ২কেজি করে ৮০ হাজার কেজি বীজ সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে হাইব্রিড ধানের ৩২০ হেক্টর, উপসী ধানের ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৩৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এবার জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান ৩৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর, উফশী জাতের ধান ৬৭ হাজার ৩৮০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ধান ২৬০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হবে।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।