পথরেখা অনলাইন : নড়াইল জেলায় শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ৩টি উপজেলায় সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বাজারের চাহিদা বিবেচনায় রেখে সবজিতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে নড়াইল সদর উপজেলা, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় ৩ হাজার ১শ’৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২শ’৮০ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১ হাজার ১শ’৬৫ হেক্টর জমিতে ও লোহাগড়া উপজেলায় ৭শ’৯৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২ হাজার ৬শ’৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ অর্জিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নড়াইল জেলার ৩ উপজেলাসহ চিত্রা, নবগঙ্গা, মধুমতি, কাজলা নদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের জমিগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজি চাষ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, টমেটো, বেগুন,শিম, মুলা, করলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজির আবাদ। মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকরা। ইতিমধ্যেই এসব সবজি বাজারজাত শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে, এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রোববার শহরের রুপগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ফুলকপি প্রতিকেজি ৪০ টাকা, লাউ সাইজভেদে ৩০ থেকে ৪০টাকা, বেগুন ও শিম প্রতিকেজি ৫০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, পালং শাক প্রতিকেজি ৩০ টাকা, লাল শাক প্রতিকেজি ২৫-৩০টাকা,পটল প্রতিকেজি ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এখানকার কৃষকরা ভোরে ঘুম থেকে উঠে জমির পরিচর্যা করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের এ মৌসুমে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোতে সবজি পাঠাচ্ছেন কৃষকরা । জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার জানান, এবার শীতকালীন শাক-সবজির ভালোই ফলন হচ্ছে। আশা করি এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি শাকসবজি উৎপাদন হবে এ জেলায়।
নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক, সৌমিত্র সরকার জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়েছে এবং প্রায় ২ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমির ফসল কাটা চলছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে কৃষকরা জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। অন্যদিকে বাজারে সবজির চাহিদা থাকায় কৃষকরা নায্য দামে বিক্রি করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন।
পথরেখা/এআর