• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৫

ইসরাইলি হামলায় ২১ জন নিহত: বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা

  • আন্তর্জাতিক       
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  • ১৯
  •       
  • ১২-১২-২০২৪, ২২:০২:৩০

পথরেখা অনলাইন : গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলেছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় বেশ ক’জন শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়েছে।

গাজা উপত্যকা থেকে এএফপি জানায়, সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান নুসিরাত শরণার্থী শিবির ও গাজা নগরীর কাছে দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

বাসাল এএফপিকে বলেন, নুসিরাতের কাছে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেয়া  একটি ভবনে ইসরাইলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ছয় শিশুসহ ১৫ জন নিহত এবং ১৭ জনেরও বেশি আহত হয়।

তিনি আরো জানান, গাজা নগরীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় নিহত ছয়জনের মরদেহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ ক’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরাইলের আক্রমণ কয়েক হাজার লোককে হত্যা করেছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করেছে।

সহিংসতা শেষ করার সর্বশেষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়, বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

মেনে চলা বাধ্যতাতামূলক নয় এমন রেজুলেশনটি ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোয়, কয়েক মাস ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে এবং একটি অগ্রগতি অর্জনের লক্ষণ দেখা গেছে।

গাজায় রয়ে যাওয়া ৯৬ জিম্মির পরিবারসহ ৩৪ জন ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মৃত বলে দাবি করছে তাদের মুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছে।

সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপির তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলায়১,২০৮ জন নিহত ও ২৫১ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করা হয়।

যার ফলে হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এই গণনায় গাজায় আটক থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া বা নিহত হওয়া জিম্মি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জাতিসংঘের নির্ভরযোগ্য বিবেচিত ও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৪৪,৮০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।