• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫২

বাংলাদেশ-পূর্ব তিমুরের সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা

  • জাতীয়       
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  • ১৩
  •       
  • ১৫-১২-২০২৪, ২০:৪২:৪৯

পথরেখা অনলাইন : বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যেকার সম্পর্ক ক্রমশ গভীর এবং প্রসারিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তবে চুক্তির বাইরে, আমরা নিশ্চিত করছি যে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে।’

তিনি বলেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে সব বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীকে তার দেশে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করন যে, যখন তিনি প্রথমবার পূর্ব তিমুর সফর করেছিলেন, তখন তিনি দেখেছিলেন যে বাংলাদেশের অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সেই দেশের গ্রামের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। তিনি তিমুর-লেস্তেকে আহ্বান জানান বাংলাদেশি পণ্য নিজ দেশে উৎপাদন করতে, কারণ এর চারপাশে বড় বাজার রয়েছে।

এখনও অনেক বাংলাদেশি তিমুর-লেস্তেতে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তিমুরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিমুর-লেস্তে শিগগিরই আসিয়ান ফোরামের সদস্য হবে এবং তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আসিয়ান সদস্য হিসেবে তার দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আসিয়ানের সমর্থন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তারা উভয় নেতা আলোচনা করেছেন কীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্ভব এবং এই বিষয়ে তিমুর-লেস্তের আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন চেয়েছেন।

বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের আত্মত্যাগ ও তাদের সমর্থকদের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশা তার সম্মান জানাতে হবে।’

বৈশ্বিক শান্তিতে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্টের অবদানের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী রামোস-হোর্তা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মহান লেখক। তিনি শুধু পূর্ব তিমুরের জনগণের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষের জন্য কাজ করেন।

রামোস-হোর্তার বন্ধু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন যখন রামোস-হোর্তা নোবেল পুরস্কারের সমস্ত অর্থ ক্ষুদ্রঋণের জন্য দান করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, রামোস-হোর্তা তাঁকে ক্ষুদ্রঋণ প্রচারের জন্য পূর্ব তিমুরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট ক্ষুদ্রঋণের একজন ভালো বন্ধু বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আগের সরকারের রোষানল থেকে তাঁকে রক্ষা করার জন্য ১০০ জনেরও বেশি আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তি বারবার বিবৃতি দিয়েছেন। রামোস-হোর্তা সেই বিবৃতিতে প্রথম বা দ্বিতীয় স্বাক্ষরকারী।

তিনি উল্লেখ করেন যে, পূর্ব তিমুরের জন্ম বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কিত। এই দেশটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সৃষ্টি হয়েছিল।

তৎকালীন জাতিসংঘ মিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আমীরা হকের ভূমিকা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী পুলিশ বাহিনী পূর্ব তিমুরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে আমীরা হকের আমন্ত্রণে পূর্ব তিমুরে সফরের সময় তিনি দেখেছিলেন কীভাবে বাংলাদেশিদের প্রতি সম্মান দেখানো হয়। তিনি বলেন, সেই সময় বাংলাদেশিরাই দেশটি কার্যত চালাচ্ছিল।

তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাও যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, দিনের শুরুতে, রামোস-হোর্তা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন, যা পরে এক প্রতিনিধি-পর্যায়ের আলোচনায় রূপ নেয়।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।