পথরেখা অনলাইন : ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের প্রাক্কালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট এবং প্রধান ইউরোপীয় নেতাদের সাথে ব্রাসেলসে রাশিয়ার যুদ্ধের ব্যাপারে ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বৈঠক করবেন।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে একত্রিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, পোল্যান্ডের নেতা ডোনাল্ড টাস্ক, ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং ডেনমার্কের মেটে ফ্রেডেরিকসেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। ইইউ প্রধান আরসুলা ফন ডার লিয়েন ও পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তাও বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে শপথ গ্রহণের ঠিক এক মাস আগে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ন্যাটো বলেছে, ২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পর থেকে ১০ লক্ষাধিক মানুষ এই যুদ্ধে হতাহত হয়েছে।
ইউরোপীয় নেতারা আলোচনার ফাঁকে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনাও ব্যক্ত করবেন। ট্রাম্প কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমিয়ে আনতে পারেন এবং মস্কোকে ছাড় দিতে বাধ্য করতে পারেন বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের বিষয়ে কয়েকটি রাজধানীতে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে ম্যাক্রোঁ ও টাস্কের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হলেও কূটনীতিকরা বলছেন, এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসার সময় এখনো হয়নি।
‘আনুষ্ঠানিকভাবে এটি এজেন্ডায় নেই, তবে যেহেতু একই কক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকবেন, তাই বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটোর একজন কূটনীতিক।
মঙ্গলবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ব্রাসেলসে এই বৈঠক এক ‘ন্যায় ও স্থায়ী শান্তি’ নিশ্চিত করার ইউরোপীয় প্রচেষ্টাকে সুদৃঢ় করবে। মেলোনি বলেন, ‘এটি সংঘাতের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখবে।’
জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ পরের বছর শেষ হতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। মস্কো লঙ্ঘন করতে পারবে না এমন একটি শান্তি চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্যই তিনি মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নেতারা ‘রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে জরুরিভাবে ইউক্রেনকে শক্তিশালী করা যায়’ তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
ন্যাটো বলেছে, রাশিয়ান বোমা হামলা ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিধায় আলোচনা ইউক্রেনের চলমান সমর্থন, বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
পথরেখা/এআর