• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:০৯

শরণার্থীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ সুদান

  • আন্তর্জাতিক       
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  • ১০
  •       
  • ২৩-১২-২০২৪, ২১:১১:০৬

পথরেখা অনলাইন : যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে প্রতিদিন পালিয়ে আসা হাজার হাজার আশ্রয়-প্রার্থী মানুষের চাপ সামলাতে গিয়ে দক্ষিণ সুদান সীমান্তে অত্যন্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আজ সোমবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এ কথা বলেছে।

দাতব্য চিকিৎসা সংস্থাটির বরাত দিয়ে নাইরোবি থেকে এএফপি জানায়, প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করছে। তবে জাতিসংঘ সম্প্রতি দৈনিক ৭ থেকে ১০ সহস্রাধিক সীমান্ত অতিক্রমের কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে সুদানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত হওয়ায় দেশটিতে বিশ্বের এক করুণতম মানবিক জরুরি পরিস্থিতি চলছে।

জাতিসংঘ জানায়, প্রায় ১৭,০০০ লোক ধারণ করা রেংক শহরের একটি ট্রানজিট কেন্দ্রের কাছে একজন এমএসএফ জরুরি সমন্বয়কারী ইমানুয়েল মন্টোবিও বলেন, তারা সেবা প্রদানের জন্য রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সাথে কাজ করছেন, তবে পরিস্থিতি একেবারেই শোচনীয়। যথেষ্ট সেবা দিতে পারছেন না তারা।

তিনি বলেন, যুদ্ধে আহতদের আগমনের জন্য নির্মিত চিকিৎসা স্থাপনাগুলো সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে, তাদের পক্ষে প্রত্যেকের সেবা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

মন্টোবিও বলেন, ‘শতাধিক আহতের মধ্যে অনেকে মারাত্মক জখম নিয়ে অস্ত্রোপচারের অপেক্ষা রয়েছেন।’

ব্লু নাইল রাজ্যের মসমনের বাসিন্দা বশির ইসমাইল বিমান হামলার পর রেংকের  হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। কিছু একটা আমার বুকে আঘাত করে। আমি এতটাই দিশেহারা হয়ে পড়ি যে মনে হচ্ছিল আমি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি।’

দক্ষিণ সুদানের এমএসএফ-এর ডেপুটি মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর রোজেলিন মোরালেস বলেন, হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, আশ্রয়, খাবার পানি, স্বাস্থ্যসেবার সংকটের মুখোমুখি রয়েছেন। সহিংসতা, দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াইরত হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পর্যাপ্ত সামর্থ্য দক্ষিণ সুদানের নেই।

গ্রামে হামলার শিকার হয়ে দক্ষিণ সুদানের রেংক শহরে পালিয়ে আসা আলহিদা হামেদ সুদানের ব্লু নাইল রাজ্যে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, ‘ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ছিল,  লোকজন এদিক  ওদিক ছুটে যাচ্ছিল।’

তিনি জানান, তিনি এখন নিরাশ্রয়। একটি গাছের নিচেই কোনোমতে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। বাড়ি আর বাড়ি নেই। সেটি এখন দুঃস্বপ্নে আধার।’ তাই তিনি আর সেখানে ফিরে যেতে চান না।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।