• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:০০

পরিচালকের সামনে পোশাক খুলতে আরম্ভ করেছিলাম: মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়

  • বিনোদন       
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ২৫-১২-২০২৪, ২২:৩৯:৪৮

পথরেখা অনলাইন : ষাটের দশকে ভারতীয় বাংলা সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন বলিউড অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। এরপর নিজের জায়গা করে নেন হিন্দি সিনেমার জগতে। সেখানে কাজ করেন অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্রর মতো অভিনেতাদের সঙ্গে।

তবে ৭৬ বছরের প্রবীণ এই অভিনেত্রী বর্তমানে অভিনয়ে অতটা সরব নন। এরপরও বড় পর্দায় মাঝে মাঝে দেখা যায় তাকে। সদ্যই ‘আড়ি’ নামের একটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় শুরু করেছেন তিনি। কলকাতায় সেই ছবির শ্যুটিং চলছে। তাই তো কাজের সূত্রেই মুম্বাই থেকে কলকাতায় উড়ে এলেন মৌসুমী চ্যাটার্জি। আর সেখানেই স্থানীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি অভিনেত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী তার দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপ করেন। নিজের প্রেম জীবন ও দাম্পত্য জীবন নিয়েও অকপটে ভাগ করে নেন নানান আবেগ-অনুভূতির কথা।

বেশ অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছে এই অভিনেত্রীর। সে প্রসঙ্গ নিয়ে সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। এ সময় মৌসুমী চ্যাটার্জি বলেন, ‘সবই অল্প বয়সে হয়েছে আমার। আমি কি এমনি এমনি নষ্ট হয়েছি? ‘বালিকা বধূ’ নিয়ে একটা গল্প বলি। সন্ধ্যা রায়ের জন্য ‘বালিকা বধূ’ ঠিকঠাক হয়েছিল। তরুণ মজুমদার দু’বার বলেছিলেন ‘বন্ধ করে দাও।’ আমি তখন খুবই ছোট। পর্দায় আমাকে কিশোরী দেখানোর জন্য আমাকে বাড়তি প্যাড দিয়ে পেটিকোট পরানো হয়েছিল। প্যাক-আপের পর সেখানেই, পরিচালকের সামনে পোশাক খুলতে আরম্ভ করেছি। ছোট তো, বুঝিনি কিছু। সে সব দেখে তরুণ মজুমদার চিৎকার করে বলে, ‘এই এই ওকে ভিতরে নিয়ে যাও।’ সে কী কাণ্ড! আমি ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছি। আমি তো তখন কিছুই জানি না।’

প্রেম জীবন প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘আমি তো সব সময় প্রেম করি। আমার বর, আমি দুজনেই খুব রোম্যান্টিক মানুষ। আমার বর তো বিয়ের পরেও প্রচুর প্রেম করেছে। আমি তো প্রেম করার সময় পাইনি। তবে ফ্লার্ট করেছি প্রচুর। শাবানা আজমি তো আমাকে বলেছেনই, ছয় বছর হোক কি ষাট বছর, মৌসুমী সবার সঙ্গে ফ্লার্ট করে যাবে।’

১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের ‘বালিকা বধূ’ সিনেমার মাধ্যমে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন মৌসুমী। পরে বলিউডে যাত্রা করেন। সত্তর দশকে বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের অন্যতম এই অভিনেত্রী।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।