• মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৭ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৪:৪৮

দিনাজপুরে শীতের প্রচন্ড শীত শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

  • সারাদেশ       
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  • ১১
  •       
  • ২৮-১২-২০২৪, ২০:০৪:৪১

পথরেখা  অনলাইন : জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে, হেড-লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। গত কয়েকদিন ধরে কমে যাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে দিনের বেলা। রাতের হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার এ জেলায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু'দিনে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন একই অবস্থানে রয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা না থাকলেও বইছে হিমেল বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষ। কনকনে শীতে মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পরেছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাট-বাজার গুলো। দিনের বেলা হালকা সূর্যের দেখা মিললেও শীতের কারণে কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই।

ভোরে ঘন কুয়াশা থাকায় জেলার সড়ক গুলোতে হেড-লাইট জ্বালিয়ে যান-বাহান গুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফিরদৌস বলেন, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা জেলার ১৩ টি উপজেলাতে বেড়ে গেছে। সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য কর্মীরা গ্রাম অঞ্চলের নিয়োমিত পরিদর্শনে শীতজনিত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে শীতজনিত  কারণে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সর্দি জ্বর কাশি ও শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ বেশি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত জেলার ১৩ টি উপজেলায় প্রায় ২৩ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জরুরী শীত বস্ত্রের চাহিদায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ই-মেইল বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিত্তবান জনসাধারণ ও বিভিন্ন বেসরকারি  সাহায্য সংস্থা গুলোকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।