• শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
    ২১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:১৯

মৌমাছির গুঞ্জরণে মুখরিত জামালপুরের সরিষা ক্ষেত

  • কৃষি বার্তা       
  • ০২ জানুয়ারি, ২০২৫       
  •       
  • ০২-০১-২০২৫, ২২:১৫:৪৩

পথরেখা  অনলাইন : জামালপুরে সারি-সারি সরিষার ক্ষেত এখন নজরকাড়া হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ যেন ঢেকে দিয়েছে হলুদ গালিচায়। গ্রামীণ জনপদ হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর। প্রকৃতির অপরূপ সাজের পাশাপাশি মধু সংগ্রহে মেতে উঠেছে পেশাদার মৌয়ালরা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যোক্তারা মধু সংগ্রহকে একটি সম্ভাবনার পাশাপাশি একটি লাভজনক পেশা হিসেবে বিবেচনা করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জানায়, মধুর উচ্চ চাহিদা এবং উপযুক্ত লাভের কারণে দেশের উত্তর-মধ্য অংশে অবস্থিত জেলায় মৌমাছি পালন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় এলাকাটি ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় একটি নজরকাড়া এবং প্রশান্তিদায়ক হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে এবং সেই সঙ্গে মধু সংগ্রহকারীরা ইতোমধ্যে সরিষা ক্ষেত থেকে ১০,৫৩০ কিলোগ্রাম মধু সংগ্রহ করেছেন।

মধু সংগ্রহকারীরা চলতি মৌসুমে সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহের জন্য ৭,২৮৭টি মৌচাক স্থাপন করে, যা মধু উৎপাদন, ফসল পরাগায়ন এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার কৃষকরা ৪১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করলেও মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমি থেকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় ৪৫ জন মধু সংগ্রহকারী জেলার সাতটি উপজেলায় মৌচাক স্থাপন করেছেন।

মধু সংগ্রহকারীরা ইসলামপুর উপজেলায় ২,৮১২টি, মেলান্দহে ১,১০৫টি, সরিষাবাড়ীতে ১,১০০টি, মাদারগঞ্জে ৭৮০টি, বকশীগঞ্জে ১,০৫০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৩০টি এবং জামালপুর সদরে ২১০টি মৌমাছির বাক্স স্থাপন করেছেন।

ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নে ২০০টি মৌচাক স্থাপনকারী কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমি সবসময়ই ভালো লাভের আশায় গাজীপুর থেকে মধু সংগ্রহ করতে জেলায় আসি।

তিনি আমাদের জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আজ পর্যন্ত তিনি ৮০০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রতি কেজি মধু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমরা ভালো পরিমাণ মধু সংগ্রহ করতে পারব।

জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ চলবে বলেও জানান তিনি।

সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা নুরুল হুদা মেলান্দহ উপজেলার ছাবিলাপুর গ্রামে ১৯০টি মৌচাক স্থাপন করেছেন।

ইতোমধ্যে তিনি ৩৫ মণ মধু সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, আমি সারা বছর বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করি এবং গত চার বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত।

সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি গত ১৫ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, মধু সংগ্রহের আয়ের ওপরই আমার সংসার চলে।’

মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের সরিষা ক্ষেত থেকে তিনি ৩৫ মণ মধু সংগ্রহ করেন।

তিনি বিনিয়োগ সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে ঋণ পেলে তার পক্ষে সুচারুভাবে পেশা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, গত বছর ৩৪ জন মধু সংগ্রহকারী ৫ হাজার ৬৪৩টি বাক্স স্থাপন করে ২৬ হাজার ৪৫০ কেজি মধু সংগ্রহ করলেও এ বছর তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।তিনি আরও বলেন, মধু সংগ্রহের সময় সরিষা চাষীরা পরাগায়নের ফলে লাভবান হওয়ায় কৃষকরাও খুশি।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।