দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কমছে চাষজমি। ভূউপরিস্থ মাটির যতেচ্ছো ব্যবহার ও রাসায়নিক সারের অপপ্রয়োগ এবং মাটির ক্ষয় ও জৈব উপাদানের ঘাটতিতে কমছে জমির উর্বরতা। ফলে বাড়ছে খাদ্যপন্য চাহিদা। খাদ্যপন্য আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। সেজন্য উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন,আমদানি হ্রাস এবং মাটির ক্ষয় রোধ ও জৈব উপাদান বাড়াতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান গবেষক ডঃ মোঃ আজিজুল হক উদ্ভাবন করেছেন ফসকো ভার্মিকম্পোস্ট জৈব সার।
শনিবার রংপুরের বিনা উপকেন্দ্র তাজহাটে নতুন উদ্ভাবিত ফসকো ভার্মিকম্পোস্ট জৈব সারের উৎপাদন কলাকৌশল এবং সম্মন্বিত পুষ্টি ব্যবস্থাপনায় ফসল উৎপাদন ও মাটির উর্বরতা রক্ষায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুরের বিভিন্ন এলাকার ১৫ জন ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ৩৫ জন কৃষক অংশ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে ভার্চুয়ালী বিনা প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ থেকে যুক্ত হন বিনার মহাপরিচালক ডঃ মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিনা রংপুর উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বিনার উদ্ভাবক ডঃ মোঃ আজিজুল হক , বিনা ময়মনসিংহ এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান খান ও বিনা রংপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান ও মোতাব্বের রহমান প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
উদ্ভাবক বিনার প্রধান গবেষক ডঃ মোঃ আজিজুল হক বলেন,মাটির গুনাগুন রক্ষায় রাসায়নিক সার বিশেষত টিএসপি,ডিএপি ও এমওপি কারখানা এবং বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। যা কৃষকের পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু গোবর ও গূহজাত পচা আবর্জনা,কচুরিপানা,খড়ের সাথে রকফসফেটের সাথে মিশিয়ে সহজেই ফসকো ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি করা যায়। প্রশিক্ষার্ণীদের কলাকৌশল প্রদর্শণ শেষে উপকরণ বিতরণ করা হয় ।
দেশকণ্ঠ/রাসু