• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৭

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে ব্র্যাক ছিল থাকবে

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ১৪ মার্চ ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মহাখালীর নিজ সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নে কাজ করার জন্যই জন্ম হয়েছিল ব্র্যাকের। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বাংলাদেশ গভর্নিং বডির চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল সুপারভাইজরি বোর্ডের চেয়ার আইরিন খান, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদ।
 
মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক কমিউনিকেশন্স, লার্নিং অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট-এর পরিচালক মৌটুসী কবীর। প্রথম পর্বে নিজেদের কার্যক্রম, অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কর্মকর্তারা। ব্র্যাক বাংলাদেশের গভর্নিং বডির চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা আবেদ ভাই এখন সশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তার আদর্শ ও দর্শনই আমাদের চালিকাশক্তি। তার মতো আমরাও বিশ্বাস করি আর্থিক, সামাজিক এবং জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে, বিশ্ব পরিসরে রাষ্ট্র ও সামাজিক সংগঠনগুলোর আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করতেও আমরা ভূমিকা রাখতে চাই।
 
ব্র্যাক হচ্ছে আইডিয়া ও ঝুঁকির সমন্বয় উল্লেখ করে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের সুপারভাইজরি বোর্ডের চেয়ার আইরিন খান বলেন, গত কয়েক বছর বিশ্বব্যাপী নানা সংকট দেখা দিচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে ১০ কোটি মানুষ অতি-দরিদ্র হয়ে গেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেবে। এর সঙ্গে রয়েছে ব্যাপকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন। তাই দেশ ও দেশের বাইরে আইডিয়া ও ঝুঁকির সমন্বয় করেই ব্র্যাকে কর্মসূচিগুলো চালাবে। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ব্র্যাক ও বাংলাদেশ প্রায় সমার্থক। বাংলাদেশের অভ্যুদয় না হলে যেমন ব্র্যাকের জন্ম হতো না, তেমনি বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে ব্র্যাক কাজ না করলে এর বিকাশ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়তো আরও অসম হতো। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব হতো না, যদি সরকার আমাদের সহায়তা না করতো। এজন্য সরকারকে ও দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ বলেন, আমাদের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য মুনাফা অর্জন নয়, দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন। সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আমরা একদিকে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করি, অন্যদিকে এ থেকে অর্জিত উদ্বৃত্ত দিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করি। একটি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমাদের সামনে নতুন আরও অনেক সমস্যা এসেছে। তখন পিছিয়ে না এসে তা সমাধানের জন্য নতুন কোনো উদ্যোগ তৈরি করেছি। দরিদ্র মানুষের সঙ্গে মিলে সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছি।
 
ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদ বলেন, ২০০২ সালে আফগানিস্তানে কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের যাত্রা শুরু। গত ২০ বছরে ১৩টি দেশে কাজ করলেও এখন ৯টি দেশে সরাসরি কাজ করছি আমরা। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা যেমন সেসব দেশে কাজে লাগছে, তেমনি বিদেশের অনেক অভিজ্ঞতাও আমরা এ দেশে কাজে লাগাচ্ছি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ প্রভৃতি কর্মসূচিতে সব মিলিয়ে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ১৫ হাজারের বেশি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।সমসাময়িক দুটি বড় ধরনের সমস্যা প্রথমত রোহিঙ্গা সঙ্কট ও দ্বিতীয়ত কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ব্র্যাক। সীমিত সময়ের মধ্যে মানবসম্পদ, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও তহবিল সংগঠিত করে সেবা-সহায়তা পৌঁছে দিয়ে ব্র্যাক এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ১৯৭২ সালে সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা শাল্লায় ফিরে আসা শরণার্থীদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ। তার স্বপ্ন এবং দর্শনের পথ ধরে বিকশিত ব্র্যাক আজ শিখর ছুঁয়েছে। নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের ১০টি দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে এই সংস্থা। সাত বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ এনজিওর স্বীকৃতিও অর্জন করেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশে এখন ব্র্যাক কেবল একটি উন্নয়ন সংস্থার নাম নয়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ইকোসিস্টেমের নাম, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক ব্যবসাসহ নানামুখী উদ্যোগ।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।