• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৪০

আগুনে ২৬ গরু হারিয়ে দিশেহারা সলেমান

  • জাতীয়       
  • ২০ মার্চ, ২০২২       
  • ৯৯
  •       
  • ২০-০৩-২০২২, ১৫:৩০:৪৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : গরুর খামারে যখন আগুন জ্বলছিল তখন মনে হচ্ছিল আমি বেঁচে থেকেও যেন মরে গেছি। চারদিক কেমন যেন অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল। সারারাত ঘুমাতে পারেনি আমি। নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত শক্তি আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এভাবেই কষ্টের কথাগুলো বলছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গরু খামারি মো. সলেমান আলী। তিনি উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আখিলা গ্রামের বাসিন্দা।
 
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার গরুর খামারে আগুন লেগে পুড়ে মারা যায় ২৬টি গরু। পরদিন শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে দুই কাঠা জমিতে গরুগুলোকে পুঁতে ফেলা হয়। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সলেমানের। সলেমান আলী বলেন, খামারে ২৭টি গরু ছিল। সবাই ভেবেছিল সবগুলোই মারা গেছে। কিন্তু আগুন নেভানোর পর একটি ছোট গরু জীবিত পাওয়া গেছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার আয়-রোজগারের একমাত্র সম্বল ছিল গরুর খামারটি। গত ১০ বছর থেকে এ গরুর খামারই আমার সংসারে এনেছে সচ্ছলতা। আমার পরিবারে প্রায় ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে যাদের সব খরচ চলতো এ গুরুর খামার থেকে। কিন্তু আধাঘণ্টার আগুনে আমার সব স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়েছে। এখন আমার সংসার চলবে কেমন করে?
 
কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সলেমান আলী একজন গরীব মানুষ। তার খামারে এ অগ্নিকাণ্ড মেনে নেওয়ার মতো না। তার খামারে আগুনের খবর পেয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছি। পরিবারটিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা যায় কি না এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আহম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সাহায্যের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া একটি গরুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ১৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খামারের গরুকে মশার কামড় থেকে বাঁচাতে খড়কুটা দিয়ে আগুন জালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে নামাজ পড়তে যান সলেমান। নামাজ শেষে ফিরে খামারে আগুন দেখতে পান। এতে ২৬ গরুর মৃত্যু হয়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।