দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : উজিরপুরে ২০২১-২২ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গম চাষে কিছুটা সমস্যা হলেও এ বছর তিন ইউনিয়নে ৪৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। মাঠে যে গম রয়েছে, তাতে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক। পজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় শিকারপুর, বামরাইল ও গুঠিয়া ইউনিয়নে ৪৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষ করা জমি থেকে ১৩২ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এ মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও তাপসহনীয় উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় জাতের গমও চাষ করা হয়। গম চাষের সময় রোগবালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় বীজবাহিত রোগের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সময়মতো গমখেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করায় এবার তেমন রোগবালাই দেখা যায়নি। এ কারণে জমিতে গমের আবাদ ভালো হয়েছে।
এ বছর ৩৫০ জন কৃষক ৪৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ করেছেন। গত অর্থবছরে গম চাষ করেছিলেন ৩০৫ জন কৃষক। উপজেলায় ৩০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে ২০ কেজি গমের বীজ, ২০ কেজি ডেপ, ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ১১ জন চাষির ২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়।
এবারের গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪ হেক্টর জমিতে বেশি গম চাষ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গম চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৩৯ হাজার টাকা। চাষের ৯০-১২০ দিনের ভেতর ফলন ঘরে তুলতে পারেন কৃষক। প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৩ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। মুন্ডপাশা গ্রামের বাদশা, কবির, এসহাকসহ একাধিক চাষি জানান, বোরো চাষের চেয়ে কম খরচে গম চাষ করা যায় এবং লাভও বেশি। তাই এবার গতবারের চেয়ে বেশি জমিতে গম চাষ করেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রশান্ত হাওলাদার ও সানজিদা আহমেদ শাওন জানান, গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে স্থানীয় চাষিদের। তাঁরা অল্প সময়ে কম খরচে গম চাষ করতে পারেন, তাই এদিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকছেন তাঁরা। উঁচু জমিতে গম চাষ করা হয়, তাই উপজেলার তিন ইউনিয়নে গম চাষ করা হচ্ছে।
দেশকন্ঠ/রাসু