• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:০০

গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে উজিরপুরের চাষীদের

  • জাতীয়       
  • ২২ মার্চ, ২০২২       
  • ২১৭
  •       
  • ২২-০৩-২০২২, ১১:৪৬:৫১

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : উজিরপুরে ২০২১-২২ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গম চাষে কিছুটা সমস্যা হলেও এ বছর তিন ইউনিয়নে ৪৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। মাঠে যে গম রয়েছে, তাতে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক। পজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় শিকারপুর, বামরাইল ও গুঠিয়া ইউনিয়নে ৪৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষ করা জমি থেকে ১৩২ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এ মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও তাপসহনীয় উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় জাতের গমও চাষ করা হয়। গম চাষের সময় রোগবালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় বীজবাহিত রোগের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সময়মতো গমখেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করায় এবার তেমন রোগবালাই দেখা যায়নি। এ কারণে জমিতে গমের আবাদ ভালো হয়েছে।
 
এ বছর ৩৫০ জন কৃষক ৪৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ করেছেন। গত অর্থবছরে গম চাষ করেছিলেন ৩০৫ জন কৃষক। উপজেলায় ৩০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে ২০ কেজি গমের বীজ, ২০ কেজি ডেপ, ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ১১ জন চাষির ২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়।
 
এবারের গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪ হেক্টর জমিতে বেশি গম চাষ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গম চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৩৯ হাজার টাকা। চাষের ৯০-১২০ দিনের ভেতর ফলন ঘরে তুলতে পারেন কৃষক। প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৩ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। মুন্ডপাশা গ্রামের বাদশা, কবির, এসহাকসহ একাধিক চাষি জানান, বোরো চাষের চেয়ে কম খরচে গম চাষ করা যায় এবং লাভও বেশি। তাই এবার গতবারের চেয়ে বেশি জমিতে গম চাষ করেছেন তাঁরা।
 
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রশান্ত হাওলাদার ও সানজিদা আহমেদ শাওন জানান, গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে স্থানীয় চাষিদের। তাঁরা অল্প সময়ে কম খরচে গম চাষ করতে পারেন, তাই এদিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকছেন তাঁরা। উঁচু জমিতে গম চাষ করা হয়, তাই উপজেলার তিন ইউনিয়নে গম চাষ করা হচ্ছে।
দেশকন্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।