দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা রংপুর থেকে উন্নত জাতের আলু রফতানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।। একদিকে আলুর বাম্পার ফলন, অন্যদিকে বিদেশে বেড়েছে আলু রপ্তানি। আলু নিয়ে চিন্তায় থাকা চাষিরা এখন ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা আশা করছেন, গত দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে এবার বাজারে ভালো দাম পাবেন তাঁরা।
সম্প্রতি রংপুর থেকে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আবর, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আলু পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো রাশিয়াতেও যাচ্ছে এখানকার আলু। রপ্তানি বাড়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক অবস্থায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন আলু রফতানির অর্ডার পাওয়া গেছে। সাদা জাতের প্রতিটির ওজন একশ গ্রামের উপরে আলু মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের পছন্দ হওয়ায় এ আলু রফতানি শুরু করেছে। আলু রফতানি করতে পেরে আলুচাষিরাও বেজায় খুশি।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, রংপুর জেলায় এবার রেকর্ড ৫২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। যা গতবারের চাষাবাদের তুলনায় এবার প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। সাদা জাতের প্রতিটির ওজন একশ গ্রামের উপরে আলু মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের পছন্দ। এই চাহিদা বিবেচনায় সান্তা, ডায়মন্ড, কুমারিকা, গ্রানুলা, কুম্বিকা এলুয়েট, এস্টারিকস, সানসাইনসহ উন্নত জাতের সাদা আলু উৎপাদনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও বীজ সরবরাহ করে কৃষি বিভাগ।
আলু চাষী রহমান বলেন, গত বছর থেকে আমি রপ্তানিযোগ্য আলু উৎপাদন করছি। বিভিন্ন দেশ আমাদের আলু কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে আমরা অন্যান্য কৃষকের তুলনায় বেশি লাভবান হবার সুযোগ পাচ্ছি। রংপুরের পীরগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির অর্ডার পাওয়া গেছে। সান্তা, ডায়মন্ড, কুমারিকা, গ্রানুলা, কুম্বিকা এলুয়েট, এষ্টারিকস, সানসাইনসহ যে আলু আছে তা আমরা নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করছি। এছাড়া মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমরা সাদা আলু রপ্তানি করছি।
দেশকন্ঠ/রাসু