• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২৭

জয় খুব নাগালে ইতিহাসও তাই

  • জাতীয়       
  • ২৩ মার্চ, ২০২২       
  • ৭৯
  •       
  • ২৩-০৩-২০২২, ২১:২০:০৭

অনিন্দ্য আরিফ দিব্য : তাসকিন হয়তো তাঁর উন্নতির প্রমাণ রাখতেই এমন ম্যাচের কথাই ভাবছিলেন। দারুণ ফর্মে ক্রিকেটে আসা তাসকিন, দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন ছন্দহীন। একটা সময় মনেই হতো তাসকিন ফুরিয়ে গেছেন। তবে তার উন্নতি দেখা যাচ্ছিল বছরখানেক ধরেই। ২০১৪ সালে ওয়ানডে অভিষেকে  পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির তাসকিন ফিরলেন আবারো নিজ মহিমায় ৮ বছর পেরিয়ে। সিরিজ জয়-পরাজয়ের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাসকিনের অসাধারণ বোলিংয়ে নতুন স্বপ্ন জ্বলজ্বল করছে। ৯ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট তাঁর, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৭ ওভারেই অলআউট ১৫৪ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন স্কোর। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫৫ রান। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাংলাদেশের ১২ ওভারে ৬৬ রান; বীনা উইকেটে। দুর্দান্ত তাসকিনের পর দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ব্যাট চালাচ্ছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল [৪৪*]। সঙ্গী লিটন দাশ দারুণ অন্যপ্রান্তে ১৮* রানে। বাংলাদেশের জয় খুব নাগালে; ইতিহাসও তাই।  
 
তাসকিনের কীর্তিটা কত বড় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ বোলিং করলেও সাকিব আল হাসান তাকে পেছনে ফেলেছেন। ওই ম্যোচে মিরাজ ছিলেন সেরার তালিকায়। তাসকিনও। মাঝে জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিখোঁজ ছিল স্বমুর্তির বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়নে ফিরে বাংলাদেশ ফিরেছে প্রথম ম্যাচের ছন্দে, আরও ভয়ংকর হয়েই। 
 
বোলি সেশনে প্রথম দুই ওভারে কোনো বল খেলতে পারেননি ডি কক, প্রথম চার ওভার শেষে তাঁর ইনিংস হলো মাত্র চার বলের। স্ট্রাইক না দেওয়ার পরিকল্পনাটা কেমন ছিল তা সম্ভবত এখানেই স্পষ্ট যে, সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে মিরাজের স্পিনে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ডি কক যখন ফিরছেন, তাঁর নামের পাশে ৮ বলে ১২ রান। অন্য প্রান্তে ইয়ানেমান মালানের রান ততক্ষণেই ৩৩ বলে ২৯। ডি ককের বিদায়ের অপেক্ষায়ই বুঝি ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল; ফিরতেই বোলিংয়ে তাসকিন এট্যাক। প্রথম দুই ওভারে ৫ রান দিলেন। অনেকটা ভাগ্যের জোরেই পাওয়া, তাসকিনের প্রথম উইকেট। পরের ওভারে আবার উইকেট, এবার বড় শিকার। জানেমান মালান। এবার বাউন্স আর মুভমেন্টের বদলে উইকেট শিকার। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫ ওভারের শেষেই ৬৯ রানে ৩ উইকেট নেই। পরের ওভারে সাকিবের বলে রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লু থেকে বাঁচতে পারেননি বাভুমাকে, দুই ওভার বিরতির পর শরীফুলের বাড়তি বাউন্সের শিকার ফন ডার ডুসেন। ১৯ ওভারও শেষ না হতে ৮৩ রানেই ৫ উইকেট নেই দক্ষিণ আফ্রিকার! তবে বাংলাদেশের দ্রুতই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস মুড়িয়ে দেওয়ার আশায় একটু বাধো বাধো লেগেছে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস আর ডেভিড মিলার ছিলেন বলে। ছয় ওভারের বেশি হয়ে গেল, জুটিটাতে রান হতে হতে ২৪ হয়ে গেল। এই বুঝি দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়াল! শঙ্কাটা শেষ হলো কার বলে? তাসকিন! ২৫তম ওভারে প্রিটোরিয়াসকে ফেরালেন, এরপর ২৯তম ওভারে আবার জোড়া ধাক্কা, চার বলের ব্যবধানে!
 
প্রথমে ‘কিলার’ মিলারকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচ বানালেন। দুই বল পরই তাসকিনের পঞ্চম উইকেট হাতছাড়া হওয়ার আফসোস। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন রাবাদা, কিন্তু তাসকিন যে বল করছিলেন প্রথম স্লিপে ফিল্ডার রেখে। কিন্তু আফসোসটা এক বলও স্থায়ী হলো না। আবার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং তাসকিনের। ফুল লেংথে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান রাবাদাকে স্ট্রোকে লোভ জাগালেন, কিন্তু ঝুঁকিতে প্রাপ্তিই হলো। বল ব্যাটের কানায় লেগে মুশফিকের হাতে।
 
শেষ পর্যন্ত যদি লক্ষ্যটা পেরিয়েই যায় বাংলাদেশ, যদি সিরিজ জিতেই যায়, এই তিন ম্যাচ বারবার তাসকিনের গল্পই বলবে। তাসকিনের প্রতিভা প্রমাণের গল্প। মুশফিক অবশ্য উদ্‌যাপনে হাত ছুঁড়তে গিয়ে ব্যথা পেলেন। তাসকিনের অবশ্য ওদিকে খেয়ালই নেই। দেখেনইনি সম্ভবত। একদিকে মুশফিকের দিকে ছুটে গেছেন কয়েকজন সতীর্থ, অন্যদিকে তাসকিনকে ঘিরে বাকিদের উদ্‌যাপন।
 
১২৬ রানেই ৮ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৫০-এর ভেতরে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ, সেটি কেশব মহারাজের ৩৯ বলে ২৮ রানের সৌজন্যেই। তবু ১৫৪ রানের লক্ষ্যটা হয়তো পেরোনো খুব একটা কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য, হওয়া উচিত নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিততে টার্গেট ছিল বাংলাদেশের ১৫৫ রান। ৯ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট সাকিবের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি মিরাজ আর শরিফুল।
দেশকণ্ঠ/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।