• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:৩৬

বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : শ ম রেজাউল করিম

  • জাতীয়       
  • ২৪ মার্চ, ২০২২       
  • ৯৮
  •       
  • ২৪-০৩-২০২২, ০৯:৩৯:১২

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ২২ মার্চ যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রবাসী বাংলাদেশী আইনজীবীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় তিনি বলেন, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
 
মন্ত্রী আরো বলেন, “১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর অপরাধীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে আইন করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়েছিল। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করে আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। তারা দাম্ভিকতার সাথে বলতো কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে মূলত বাংলাদেশে আইনের শাসনের পরিপন্থী ব্যবস্থা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। বিচার ব্যবস্থাকে আজ্ঞাবহ করে তোলা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী, বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত, জেলহত্যায় জড়িত ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল”।
 
তিনি আরো বলেন, “ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সব অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবসান হয়েছে বিচারহীনতার সংস্কৃতির। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এ সবই সম্ভব হয়েছে একজন সাহসী, আইনের শাসনে বিশ্বাসী, দেশপ্রেমী ও সৎ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারণে। বাংলাদেশে এখন কেউ অপরাধ করে দাম্ভিকতার সঙ্গে বলতে পারে না যে তিনি বিচারের ঊর্ধ্বে। যে যে দল করুক, যে মতেই থাকুক, অপরাধ করলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, যুদ্ধাপরাধ, বিডিআর বিদ্রোহ, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাসহ সব অপরাধের বিচার হয়েছে। এমনকি দূর্নীতি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীও রক্ষা পান নি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে”।
 
তিনি আরো যোগ করেন, “গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত আইনের শাসন। আইনের শাসনের পূর্ব শর্ত ভালো বিচার ব্যবস্থা। বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর উন্নয়নের ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশে এখন কেউ অপরাধ করলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। কোন রাজনৈতিক দল, মত, বিবেচনা না করে করে সবার জন্য আইনের সমান প্রয়োগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে হয়েছে।”
 
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও তার সহযোগীরা দেশের বাইরে থেকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের সোচ্চার হতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও তার সহযোগীদের মিথ্যাচারপূর্ণ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশী আইনজীবীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”
 
ব্যারিস্টার অনুকূল তালুকদার ডাল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, ব্যারিস্টার মনজুরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার ইনামুল হক, ব্যারিস্টার কাজী শামসুল আহসান শুভ, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, ব্যারিস্টার সঞ্জয় কুমার রায়, ব্যারিস্টার আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌসি রূপা, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যারিস্টার ও সলিসিটর উক্ত সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
দেশকন্ঠ/রাসু
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।