• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৯

ভাতা বিতরণে ‘নগদ’-এর ওপরেই সরকারের আস্থা

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা বিতরণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আবারও মোট ভাতার ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বিতরণের (সংশোধিত) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
 
২৪ মার্চ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকার থেকে ব্যক্তি (জি-টু-পি) পদ্ধতিতে তালিকাভূক্ত মোট ভাতা গ্রহীতার ৭৫ শতাংশকে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভাতা বিতরণ করা হবে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং ‘নগদ’ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এবং সচিব মাহফুজা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
 
গতবছর সমাজসেবা অধিদপ্তর মোট ৮৮ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে ৭৬ লাখ ১৩ হাজার উপকারভোগীকে তাদের ভাতা ‘নগদ’ ও অপর একটি এমএফএস-এর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়। এবারও একই পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণ করা হবে। ফলে আগের মতোই বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভাতা পাবেন। এর আগে গত অর্থ বছরেও ‘নগদ’-এই চারটি কর্মসূচীর আওতায় মোট সুবিধাভোগীর ৭৫ শতাংশ-কে ভাতা পৌঁছে দিয়েছে। এবার তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদেদের-কেও এই পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
ভাতা ভোগীরা প্রয়োজন মতো ভাতার টাকা ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়ির পাশে ‘নগদ’ উদ্যোক্তা পয়েন্ট থেকেও তুলে নিতে পারবেন। সরকারি এই ভাতা ক্যাশ আউট করতে উপকারভোগীকে অতিরিক্ত কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না। সরকার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’-কে প্রতি হাজারে ৭ টাকা ক্যাশ আউট চার্জ দেবে, বাকি টাকা ‘নগদ’ বহন করবে।
 
এর আগে করোনা মহামারির সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ অসহায় পরিবারকে দুইবার করে এমএফএস-এর মাধ্যমে ঈদ উপহার বিতরণ করেন; যার মধ্যে ১৭ লাখ পরিবার ‘নগদ’-এর মাধ্যমে উপহার পায়। কোভিডের সময় আরো অনেক অনুদান ও সরকারি সহায়তা বিতরণের পাশাপাশি একইভাবে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতাও ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণ করেছে সরকার।
 
‘নগদ’-এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতা বিতরণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘ভাতা এবং সরকারি অনুদান বিতরণে ‘নগদ’ ইতিমধ্যেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আবারো একইভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতা বিতরণে আমাদের সঙ্গে চুক্তি করা ‘নগদ’-এর ওপরে আস্থারই প্রতিফলন। আমরা সব সময়ই দেশ ও দেশের জনগণের কথা মাথায় রেখে আমাদের সেবাগুলোকে সাজিয়েছি। সে কারণেই অল্প সময়ে আমরা সরকার ও জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, ‘নগদ’ সরকারের পুরো ভাতা ও অনুদান বিতরণ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করবে এবং জনগণও কোনো রকম ঝক্কি ছাড়াই তাদের প্রাপ্য বুঝে পাবে।’
 
‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, “নগদ অনেকদিন ধরেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা বিতরণ করছে। আশা করবো নতুন এই সংশোধনী চুক্তির ফলে সর্বাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আরো সুষ্ঠূ ও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে পারবো।” বর্তমানে ‘নগদ’-এর ছয় কোটির বেশী নিবন্ধিত গ্রাহক আছে এবং প্রতিদিনের গড় লেনদেন সাড়ে সাতশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।