দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার ও ব্যাংকারদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যাংকিং খাতের তুলনায় অনেক ভাল করছে। তিনি বলেন, ‘আমি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই খাতের প্রতি আস্থা রেখেছিলাম, এখন বলতে পারি আমি প্রতারিত হইনি।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের ৫০ বছর পূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম অর্থসচিব এম মতিউল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। মুস্তফা কামাল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনালী ব্যাংকের নামকরণ করায়, তিনি এই ব্যাংকটির অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় সোনালী ব্যাংক সাধারণ মানুষ ও বঙ্গবন্ধুর আস্থার জায়গায় পরিনত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, মাত্র ২৬৭টি শাখা নিয়ে শুরু করার পর সোনালী ব্যাংকের শাখা এখন ১ হাজার ২২৯টি এবং ‘সাধারণের ব্যাংক’ হিসেবে অর্থনীতিতে অবিচল ভূমিকা পালন করে চলেছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, সোনালী ব্যাংক গত কয়েক বছরে সরকার থেকে কোন পুনঃঅর্থায়ন নেয়নি। তিনি বলেন, এটি একটি অসাধারণ অর্জন এবং এই ব্যাংক এখন অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ভাল আছে। তিনি বলেন, জনগণের আস্থার ঠিকানা এখন সোনালী ব্যাংক, সেই আস্থার জায়গাটি ধরে রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদহার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে নিয়ে এসেছি। ঋণস্থিতি ১২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। কৃষিঋণ চারগুণ বেড়েছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হয়েছে ১১ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ।
দেশকণ্ঠ/আসো