দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এখানে একই জায়গায় দাড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য দেখতে বছরের বিশেষ দিনগুলোতে নানা বয়সের পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে। তাই এবারও সাপ্তাহিক ছুটিসহ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি কাটাতে হাজারও পর্যটক এসেছেন কুয়াকাটায়। ২৫ মার্চ সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, সৈকতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন নানা বয়সের পর্যটক। করোনা সংক্রমণ কমায় পর্যটন মৌসুমের শেষদিকে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকা থেকে আসা দিব্য বলেন, শীত মৌসুমে একবার কুয়াকাটা এসেছিলাম কিন্তু এত আনন্দ করতে পারিনি। আজকে অনেক বড় ঢেউ দেখলাম। কুয়াকাটা আসবো আর ঢেউ দেখবো না এটা কীভাবে হয়, বেশ আনন্দ করেছি। শরীয়তপুর থেকে আসা আনিকা বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। এত আনন্দ করছি যা ভাবতে পারছি না। গোসল, ছবি তোলা, হৈ-হুল্লোড়ে সময় কাটাচ্ছি সবাই।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, সাপ্তাহিক ছুটি ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুদিন কুয়াকাটায় আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন। গত একমাস ধরেই ছুটির দিনে পর্যটক থাকেন। কারণ এখন অনেকেই সকালে এসে বিকেলের সূর্যাস্ত দেখে গন্তব্যে ফিরতে পারেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, দুইদিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে বারবার মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
দেশকন্ঠ/অআ