দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করলো গ্রামীণফোন। এ যাত্রাপথে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে অপারেটরটি। ২৭ মার্চ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম এবং এশিয়ায় টেলিনরের প্রথম কার্যক্রমের রজতজয়ন্তী উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, সিএমও সাজ্জাদ হাসিব, সিটিও রাদে কোভাসেচিভ, সিসিএও (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত, হেড অব মার্কেটিং নাফিস আনোয়ার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াসির আজমান ১৯৯৭ সাল থেকে টেলিকম ব্র্যান্ড হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনপদকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে তিনি পল্লীফোনের প্রথম গ্রাহক লাইলী বেগম ও মধুপুর বনাঞ্চলের সুবীর নকরেকের গল্প বলেন। পেফোন সেবার মাধ্যমে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাখো মানুষের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন লাইলী বেগম; অন্যদিকে, সুবীর নকরেক কানেক্টিভিটির মাধ্যমে শুধু নিজের জীবনেই পরিবর্তন আনেননি, পাশাপাশি গারো সম্প্রদায়ের অন্যান্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন– কীভাবে ফোরজি কানেক্টিভিটি সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়তা করতে পারে।
গ্রামীণফোনের সিএমও সাজ্জাদ হাসিব প্রতিষ্ঠানটির আগামী দিনের লক্ষ্যের ব্যাপারে আলোকপাত করেন। একসঙ্গে আমাদের গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবাদানে ভবিষ্যতে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ইকোসিস্টেম পার্টনারদের সঙ্গে আরও বড় পরিসরে অংশীদারিত্বের ব্যাপারে প্রত্যাশী। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গ্রামীণফোনকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে ২৫ বছরের নতুন একটি লোগো উন্মোচন করা হয়।
দেশকন্ঠ/অআ