• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৫

ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা

  • জাতীয়       
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২       
  • ৮২
  •       
  • ১৬-০৪-২০২২, ১৭:৪৩:৫৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদযাত্রায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। তবে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় ভয়াবহ যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো চার লেন সুবিধা নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলেঙ্গা পর্যন্ত চলে আসতে পারে। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সড়কটি দুই লেনের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুটিও দুই লেনের। এতে চার লেনের সুবিধায় এলেঙ্গা পর্যন্ত আসা যানবাহনগুলো দুই লেনের মুখে আটকে যায়। সেখান থেকেই যানজটের শুরু হয়। এছাড়া সিরাজগঞ্জ অংশে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় সড়কে চাপ বাড়লেই যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই জট কখনো টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। আবার সেতুতে টোল দিতে গিয়েও যানজট লেগে যায়।
 
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের আগে ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে যায়। মাইক্রোবাস চালক হামিদ মিয়া বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে ঢাকার দিকে ফোর লেন। অপর দিকে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেন। এ কারণে ফোর লেনের যানবাহন যখন দুই লেনে যাতায়াত করে তখনই যানজট সৃষ্টি হয়। ঈদের মধ্যে স্বাভাবিক তুলনার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি যানবাহন চলাচল করবে। এ কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হবে।’ অপর চালক আক্কাস আলী বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা ট্রিপের প্রতিযোগিতায় থাকি। কে কত বেশি ট্রিপ মারতে পারি, বেশি টাকার লোভে নিজের জীবনেরও তোয়াক্কা করি না। অপর দিকে রাস্তার নিয়ম কানুনও মানি না। ফলে অনেক সময় চালকদের কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয়।’ ট্রাক চালক জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে দেখে চালকরা ভয় পেয়ে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায়। তাই অবিরত রাস্তায় পুলিশ থাকলে যানজট কম হবে। এছাড়াও চালকদের প্রতিযোগিতা বন্ধ করলে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটও কমে আসবে।’
 
চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অমিত চক্রবর্তী বলেন, ‘মির্জাপুরের ফ্লাইওভারটি ঈদের ১০ দিন আগে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তাই এই সড়কে এলেঙ্গা পর্যন্ত আর কোনো সমস্যা থাকছে না।’ বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুর প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ থেকে ৭ টি লেনে টোল আদায় করা হয়। ঈদের আগে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় পাশে ১৮টি লেনে টোল আদায় করা হবে।’ টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘যানজট নিরসনে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ব্যতিক্রম কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে ২ শতাধিক এপিপিএনের সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করবে। সব মিলিয়ে ঈদের ছুটির সময় মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে আট শতাধিক পুলিশ কাজ করবে। এতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি অনেক কম হবে।’
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।