• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৩

ময়মনসিংহে শসার কেজি ৪ টাকা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ময়মনসিংহে পাইকারি বাজারে শসার দাম ৪ টাকা কেজি। তবু নেই ক্রেতা। সারি সারি শসার স্তূপ নিয়ে বসে আছে কৃষকরা। ১৫ এপ্রিল দুপুরে জেলার তারাকান্দা উপজেলার গোয়াতলা শসার বাজারে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। রোজায় খুচরা বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এত কম দামে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাষিরা। তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সারা বছর শসার আবাদ হয়। এই সব এলাকার চাষিরা গোয়াতলা বাজারে শসা বিক্রি করায় এই বাজার ‘শসার বাজার’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এই বাজার থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ টন শসা বিভিন্ন জেলায় যায়। এই বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ জন। 
 
কৃষকের উৎপাদিত শসার দাম হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। আবার পচনশীল পণ্য হওয়ার কারণে মজুদ করার সুযোগ না থাকায় পানিরদরে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে। তারাকান্দা উপজেলার গোহালকান্দি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বাজারে শসা নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। তিনি জানান, ২০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে বাজারে শসা নিয়ে আসতে ভ্যান ভাড়াও উঠছে না। বকশীমুল গ্রামের চাষি শাতাবউদ্দিনসহ কয়েকজন জানালেন একই কথা। খুচরা বাজারে শসার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কেন পাইকারি বাজারে দাম পাচ্ছে না প্রশাসনে পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তারা। এই বাজারে কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঢাকা থেকে আড়ৎদাররা গাড়ি পাঠাচ্ছেন না। আড়ৎদার মাল না কিনলে তাদের বিক্রি করার সুযোগ নেই। এছাড়াও বাজারে চাহিদার তুলনায় শসা বেশি বলে দাম কমে গেছে। 
 
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) শোয়েব আহমেদ জানান, জেলায় ১ হাজার ১৫৩ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ করা হয়েছে। এ বছর শসার ফলনও ভালো হয়েছে। রোজায় চাহিদা মাথায় রেখে অনেক কৃষক শসার আবাদ করেছেন। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম একেবারে কমে গেছে। আর এই সুযোগ নিচ্ছেন আড়ৎদার ও দালালরা। দাম হঠাৎ একেবারে কমে যাওয়ায় আগামী মৌসুমে শসা চাষ নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ বছর যারা শসা চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আগামী মৌসুমে তারা শসার চাষ করতে চাইবেন না। তখন বাজারে শসার সরবরাহ কমে যাবে। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।